প্রতীকী ছবি।
পুর-নির্বাচন আসন্ন। ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কোন ওয়ার্ডে এ বার কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে প্রতিটি দলেই। এ বারও টিকিট মিলবে তো! ভাবনা বাড়ছে পুরনো কাউন্সিলরদের।
ক’দিন আগেই খড়্গপুর উপ-নির্বাচনে হার হয়েছে বিজেপি-র। এ বার রেলশহরে পুরভোট। আবারও তৃণমূল-বিজেপি টক্করের সম্ভাবনা। কিন্তু শহরের বর্তমান কাউন্সিলরেরা এ বারও প্রার্থী হতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দানা বাঁধছে। কংগ্রেসের কাউন্সিলরেরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও অন্য দলের কাউন্সিলরেরা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। সমস্যা সবথেকে বেশি তৃণমূলে। ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে শহরের পাঁচ নেতা-সহ বহু কাউন্সিলর তাঁদের নিজেদের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে অন্য ওয়ার্ডে যে টিকিট মিলবেই, তার নিশ্চয়তা কী! পরিস্থিতি দেখে বহু কাউন্সিলর দলের জেলা নেতা, বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তৃণমূলের শহর সভাপতি তথা কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “কে প্রার্থী হবেন সেটা দল ঠিক করবে। কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রেও তাঁদের বিগতদিনের কাজ ও দলের সমীক্ষার উপর নির্ভর করে টিকিট দেওয়া হবে বলে দল জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কাউন্সিলরেরা সকলেই টিকিট পাবেন এমন কোনও কথা নেই।”
তৃণমূলে কাউন্সিলর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সঙ্কট বেশি। স্বস্তিতে নেই বিজেপি কাউন্সিলররাও। এখনও পর্যন্ত খড়্গপুরের পুরসভায় প্রার্থী কোন পদ্ধতিতে বাছাই করা হবে তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে বৈঠক হয়নি। শহরে এখন বিজেপি-র ৩জন কাউন্সিলর রয়েছেন। রেলশহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর অনুশ্রী বেহেরা বলেন, “এখনও দলের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত কোনও বৈঠক হয়নি। এমনকি আমরা যাঁরা কাউন্সিলর রয়েছি তাঁরা টিকিট পাবে কিনা সেটাও দল জানায়নি। ফলে কাউন্সিলর হিসাবে প্রার্থী হতে পারব কিনা নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না।”
খড়্গপুর শহরের পুরভোটে জোট হচ্ছে বলে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসন সমঝোতা করে ফেলেছে কংগ্রেস ও বামেরা। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের তুলনায় বাম কাউন্সিলরের সংখ্যা কম। শহরের ৩৩নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর স্মৃতিকনা দেবনাথ বলেন, “কাউন্সিলরেরা টিকিট পাবেন কি না সেই বিষয়ে দল এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। এটা দল ঠিক করবে। হয়তো যাঁরা কাউন্সিলর রয়েছেন তাঁরা প্রার্থী হবেন। কিন্তু সেটা নিশ্চিত নয়।”
যদিও কিছুটা স্বস্তিতে কংগ্রেস কাউন্সিলরেরা। এখন শহরে ৬জন কংগ্রেস কাউন্সিলর রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মহিলা কংগ্রেসের জেলা নেত্রী রীতা শর্মা বলেন, “আমাদের যাঁরা কাউন্সিলর রয়েছেন তাঁদের কাজ নিয়ে এলাকার মানুষের প্রশ্ন নেই। ফলে, নিশ্চিত না হলেও কাউন্সিলরেরা স্বাভাবিকভাবেই প্রার্থী হবেন। বাকিটা প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হলে বোঝা যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy