নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিএমের একটি পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দলবল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে বামকর্মীদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় সিপিএমের ৭ কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর জখম অবস্থায় ২ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোও হয়েছে বলে দাবি বামেদের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূলের দাবি, তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে।
সিপিএমের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় কেতুয়ার কার্যালয়ে বসে ‘নভেম্বর বিপ্লব’ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেই সময় পাশ দিয়ে যাওয়া তৃণমূলের মিছিল থেকে কেউ কেউ বেরিয়ে পার্টি অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কার্যালয় ভাঙচুরের পাশাপাশি, বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পার্টি অফিসে থাকা সিপিএম কর্মীদের। আহত অবস্থায় ৭ জনকে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। সেখানে ২ জনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
বামেদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কেশপুর-৩ এরিয়া কমিটির সম্পাদক শুভাশিস পাইন বলেন, ‘‘শাসক দলের পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে। বামেদের উত্থান হচ্ছে। পার্টি অফিস খুলছে। এই সব দেখে ওরা ভয় পেয়েই হামলা চালিয়েছে।’’
তৃণমূল অবশ্য এই ঘটনাকে ‘বাম-বিজেপি সংঘাত’ বলেই দাগিয়ে দিয়েছে। জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, ‘‘তৃণমূল কারও উপর হামলা চালায়নি। সিপিএম এবং বিজেপি নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। ভোটের আগে বহু সিপিএমকর্মী বিজেপিতে গিয়েছিলেন। সেই দলত্যাগী সিপিএম আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তা-ই নিয়ে হয়তো সংঘাত।’’
দলীয় কার্যালয়ে হামলার এই ঘটনায় কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের তরফে নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিপিএম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy