Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Police

‘ঘুষ’, সাসপেন্ড তিন পুলিশ কর্মী

কর্তব্যরত অবস্থায় ওই তিন পুলিশ কর্মী বালির গাড়ির চালকদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা সংগ্রহ করছিলেন।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ০০:৩৬
Share: Save:

কর্তব্যরত অবস্থায় গাড়ির চালকের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন এগরা থানার এক এএসআই-সহ তিন জন পুলিশ কর্মী। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের জেলা সদর দফতরে সরকারি জিনিসপত্র জমা করে পুলিশ লাইনে দ্রুত রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, জেলার প্রতিটি থানা এলাকার এবং জেলার সীমানা এলাকায় নিরাপত্তার জন্য রাতে পুলিশ নাকা তল্লাশি করে থাকে। জেলা এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিকদেরও নিয়ম মতো সপ্তাহের নিদির্ষ্ট দিনে নিরাপত্তা বিষয়ক পরিদর্শনে বেরোতে হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ষড়রংয়ে এগরা-বেলদা সড়কে নাকা তল্লাশির দায়িত্বে ছিল এগরা থানার এএসআই সুধাংশু সামন্ত-সহ দুই কনস্টেবল সুদীপ কুমার দুয়ারী এবং মানস মুদি। প্রতিদিনের মতো ওই রাতেও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বালির গাড়ি ষড়রং নাকা পয়েন্ট পেরিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকছিল।

অভিযোগ, কর্তব্যরত অবস্থায় ওই তিন পুলিশ কর্মী বালির গাড়ির চালকদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা সংগ্রহ করছিলেন। ঘটনাচক্রে ওই রাতে ‘সাইপ্রাইজ ভিজিটে’ এগরা থানায় এসেছিলেন কাঁথি (গ্রামীণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরবিন্দ আনন্দ। তিনি ভোর ৪টা নাগাদ ষড়রং নাকা চেকিং স্থলে যান এবং হাতেনাতে ওই তিন পুলিশ কর্মীকে বেআইনিভাবে টাকা নিতে দেখেন। ঘটনাস্থলে তিন পুলিশ কর্মীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তি-সহ একটি পাঁচশো টাকার নোটের উপর তাঁদের নাম স্বাক্ষর করিয়ে নেয় ওই পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই চেকিং স্পটে পুলিশ গাড়ির থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা উদ্ধারও হয়।

ওই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত এএসআই এবং দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছেন জেলা পুলিশ সুপার। তাঁদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় অসদাচরণ ও লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্রুত তাঁদের সরকারি জিনিসপত্র জেলা পুলিশ দফতরে জমা দিয়ে তমলুক পুলিশ লাইনে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বালির-সহ অন্য গাড়ির চালকদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ফোন করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদবকে। তবে তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি টেক্সট মেসেজেরও।

অন্য বিষয়গুলি:

Police Bribe Suspension
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy