এই দোকানেই চুরি হয়েছে।
লাল মোজাটা কোথায় রেখেছে সান্তা— খুঁজে পায়নি বোধহয় নৈশ বাণিজ্য বিভাগের কর্মীটি! কনকনে শীতের রাত। কতক্ষণ অপেক্ষা করা যায় সান্তা ক্লজের উপহার ভরা মোজার জন্য? তাই বড়দিনের উপহার নিজেই সংগ্রহ করে নিয়েছিল চোর। দোকানের দরজা ভেঙে কেক খেয়েছে সে। তার পর লজেন্স। বড়দিনে কুকিজ না হলে চলে! তাই বিস্কুটও প্রাণভরে খেয়েছে। উত্তর মেরু থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর কি কম দূর!
গোয়ালতোড়ের ঘটনা। আর সেই ঘটনা খাস বড়দিনেই। গোয়ালতোড়ে রাস্তার পাশেই অসিতকুমার সেনের পানের গুমটি। ছোটখাট দোকান। দোকানের মালিকের রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি গোয়ালতোড় অঞ্চলের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি। বুধবার অর্থাৎ বড়দিনের তিনি রাত ন’টা নাগাদ দোকান বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু সকালে দোকানে গিয়ে দেখেন চোর তার ‘নৈশ বাণিজ্য’ সেরে গিয়েছে। অসিতকুমার বললেন, ‘‘গোয়ালতোড় থেকে সনকা মন্দির যাওয়ার রাস্তার পাশেই আমার ছোট গুমটি দোকান। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ গুমটি বন্ধ করে বাড়ি চলে আসি। সকালে গিয়ে দেখি গুমটির দরজা ভাঙা। দোকানে কৌটোয় কৌটোয় লজেন্স, বিস্কুট রাখা ছিল। সেসব একটাও নেই। বড়দিন উপলক্ষে কেক তুলেছিলাম বিক্রির জন্য। সেসবও ইচ্ছে মতো খেয়েছে।’’
অসিতকুমারের প্রতিবেশী সুজিত খান। তিনি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি। সুজিত বললেন, ‘‘সকালে গুমটির সামনে বিস্কুটের ভাঙা অংশ, লজেন্সের প্যাকেট, পানের পিক পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুমটির দরজাও ভাঙা ছিল। চোর মনে হয় দরজা ভেঙে লজেন্স, বিস্কুট কেক খেয়ে পালিয়েছে।’’
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা সরেজমিন দেখে বিশেষজ্ঞের মতামত জানিয়েছেন। তাঁদের ধারণা, ‘‘এটা নিশ্চয়ই কোনও ছিঁচকে চোরের কীর্তি!’’ কিন্তু দোকানের সামনেটা রাঙিয়ে দেওয়া পানের পিক দেখে কারও কারও অন্য সন্দেহ হচ্ছে। তাঁদের মত, চোর হলেও ‘তিনি’ বেশ রসিক। তাই খাওয়ার পরে আয়েশ করে পান চিবিয়েছেন। অন্য দলের মত, বাঙালি চোর তো। তাই কেক, কুকিজের মতো বিলিতি খাবারের পরে পান খেয়ে জিভ লাল করেছে।
পুলিশ পান রসিক চোরের খোঁজ শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy