Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ভোগান্তি রোগীর পরিজনেদের

ব্লাড ব্যাঙ্কই নেই সুপার স্পেশ্যালিটিতে

সমস্যার কথা মানছে স্বাস্থ্য দফতরও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রক্তের ইউনিট থাকা প্রয়োজন।

রক্তের অভাব জারি। প্রতীকী ছবি।

রক্তের অভাব জারি। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৭ ০০:০৩
Share: Save:

ঝাঁ চকচকে ভবন। প্রতিটি বিভাগে আধুনিক সব সরঞ্জাম। অথচ, ব্লাড ব্যাঙ্কই নেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশিরভাগ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। অগত্যা রক্ত আনতে রোগীর পরিজনেদের ছুটতে হয় সেই মেদিনীপুর বা খড়্গপুরে। হাতের কাছে রক্তের নাগাল না থাকায় অনেক সময় আশঙ্কাজনক রোগীকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকেও ‘রেফার’ করে দিতে হয়।

সমস্যার কথা মানছে স্বাস্থ্য দফতরও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রক্তের ইউনিট থাকা প্রয়োজন। সেই মতো এই হাসপাতালগুলোয় ব্লাড ব্যাঙ্ক গড়ে তোলা হবে। একে একে সব পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।’’

স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন এলাকায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চালু হয়েছে— ঘাটাল, শালবনি ও ডেবরায়। এর মধ্যে শালবনি ও ডেবরার হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক নেই। গোটা জেলায় ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে ৩টি— মেদিনীপুর মেডিক্যাল, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল ও খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। আর ‘ব্লাড স্টোরেজ ইউনিট’ রয়েছে ২টি, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ও বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে। ডেবরা হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলছিলেন, ‘‘শুধু ডেবরা নয়, সবং, পিংলা ও আশপাশের এলাকার বহু মানুষ এই হাসপাতালে আসেন। রক্তের প্রয়োজন হলে খড়্গপুর বা মেদিনীপুরে যেতে হয়। খুবই
সমস্যা হয়।’’

শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আবার গোয়ালতোড়, চন্দ্রকোনা রোড ও তার আশপাশের এলাকার মানুষ আসেন। শালবনি, ডেবরা- দু’টি হাসপাতালই জাতীয় সড়কের পাশে। শালবনির উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ডেবরার উপর দিয়ে গিয়েছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। ফলে, হামেশাই দুর্ঘটনায় জখমদের এই হাসপাতালে আনা হয়। তখন দ্রুত রক্ত না পেলে সমস্যার শেষ থাকে না।

রক্তের জোগান না থাকায় অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। ৩০-৩৫ শতাংশ প্রসূতি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। এই সময়ে অন্তত এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। না পেলে
সমস্যা হয়।

জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলছিলেন, ‘‘সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অনেক আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সব হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক নেই। তবে সব সুপার স্পেশ্যালিটিতেই ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে। এ জন্য জেলার তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
করা হচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE