তোড়জোড়: বাঁশের কাঠামো (চিহ্নিত) তৈরি করে সেতু মেরামতের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
ফের বিপত্তি ধাদিকার শিলাবতী সেতুতে। এ বার ভাঙল সেতুর বিয়ারিং। গত এপ্রিল মাসে এই সেতুর একাংশ বসে যাওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। চলছিল মেরামতির কাজ। তারই মধ্যে সেতুর মূল বল -বিয়ারিং ভেঙে যাওয়ায় বিপত্তি বাড়ল বলে মনে করছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
কয়েকদিন আগেই এই ভাঙা অংশ নজরে আসে সেতু মেরামতিতে যুক্ত শ্রমিকদের। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়াররা এসে সরেজমিনে দেখেন। জানা গিয়েছে, সেতুর দক্ষিণ দিকের বসে যাওয়া অংশ মেরামতি করার পর নীচের ভেঙে যাওয়া বল বিয়ারিংয়ের কাজে হাত দেওয়া হবে।
গড়বেতা ১ ব্লকের ধাদিকায় শিলাবতী নদীর উপর ব্রিটিশ আমলের ছোট সেতুর উপর চাপ কমাতে গত শতকের সত্তরের দশকে বড় কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হয়। নদীর উপর ছ’টি বড় পিলারের উপর গড়ে তোলা হয় এই সেতু। এই সেতুর উপর দিয়েই চলে গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। গত এপ্রিল মাসে সেতুর দক্ষিণ দিকের একাংশ বসে যায়। সেতুর নীচের অংশেও ফাটল দেখা দেয়। তারপরই এই সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশের পুরানো সেতু দিয়ে বাস- সহ ছোট গাড়িকে যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হলেও বড় লরি বা ভারী যানবাহনকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। মেরামতিতে নামেন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তার আগেই ফের বিপত্তি।
কয়েকদিন আগেই কর্মরত শ্রমিকদের নজরে আসে সেতুর নীচের ভাঙা বল-বিয়ারিংয়ের অংশ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখেন, মূল সেতুর সঙ্গে পিলারের যোগসূত্র স্থাপন করা প্রত্যেকটা বল - বিয়ারিংই ভেঙে গিয়েছে। নজর এড়িয়ে যদি সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হত সে ক্ষেত্রে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা ছিল বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, ৬ টি পিলারে ৬ টি করে মোট ৩৬ টি বল- বিয়ারিং আছে। এর মাধ্যমেই ভার নিয়ন্ত্রণ করে সেতু। সেইসঙ্গে ভারের চোটে পিলারেরও ক্ষতি আটকায় এই বিয়ারিং গুলি।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একজন আধিকারিক বলেন, ‘‘সেতুর বল-বিয়ারিং ঠিক করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সময়সাপেক্ষ। অত্যাধুনিক জ্যাক মেশিন দিয়ে সেতুটিকে তুলে নষ্ট হয়ে যাওয়া বল - বিয়ারিং খুলে ফের নতুন লাগিয়ে বসাতে হবে সেতু। নিঁখুত মাপ না হলে নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে সেতু।’’ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক (ডিভিশন ২) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তরুণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আগে সেতুর বসে যাওয়া অংশ মেরামতি করার পর ভাঙা বল বিয়ারিং গুলি পরিবর্তন করা হবে, দ্রুততার সাথেই সেই কাজ হবে। তারপর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy