চিকিৎসাধীন জখমরা। নিজস্ব চিত্র।
ভোট শেষ হতেই একের পর এক সংঘর্ষের ছবি জেলা জুড়ে। সেই সংঘর্ষের বেশিরভাগটাই পাল্টা প্রতিবাদের ফল বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা। দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন বিকেল থেকেই ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছিল সিপিএম-তৃণমূলের সংঘাত। বৃহস্পতিবার ঘাটালের রাধানগর দাস পাড়ার সংঘর্ষে দু’পক্ষের দশ মহিলা আহত হয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। বসেছে পুলিশ পিকেটও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ সিপিএম সমর্থক পরিবারের জনা চারেক মহিলা পাড়ার নলকূপে জল আনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময় তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জীতেন দাসের নেতৃত্বে কিছু মহিলা তাঁদের উপর চড়াও হয়। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয়। জখম হন তিন মহিলা। ঘটনার খবর চাউর হতেই ওই দাস পাড়ার অন্য মহিলারা ঘটনাস্থলে জড়ো হন।
ওই এলাকা সিপিএমের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত। ফলে প্রতিরোধ হয়েছে ভালই। তিন মহিলা আহত হওয়ার পর তারপরই এলাকায় ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। বাম সমর্থক পরিবারের অন্য মহিলারাও বাড়ি থেকে লাঠি-রড নিয়ে এসে তৃণমূল সমর্থকদের উপর চড়াও হন। ঘটনায় তৃণমূলের সাত জন মহিলা আহত হন। সবাইকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত দু’দল মহিলার মধ্যেই গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে অশান্তির সূত্রপাত তৃণমূলের অঞ্চল সদস্য জীতেন দাসের নেতৃত্বেই। ঘটনার পর থেকেই জীতেন-সহ অনান্যরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন। তবে তিন সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘাটাল জোনাল কমিটির সম্পাদক উত্তম মণ্ডলের অভিযোগ, “ভোটের পর থেকে তৃণমূলের হাতে আমাদের প্রায় ১৬ জন কর্মী আহত হয়েছেন। দলীয় কাযার্লয় থেকে সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ, এ দিন আমাদেরই তিনজন সমর্থককে গ্রেফতার করল।” তিনি জানান, এলাকায় এখনও অশান্তি রয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নিলে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করবেন তাঁরা।
তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মাঝির অভিযোগ, “আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরেও সিপিএম হামলা চালাচ্ছে। একাধিক ঘটনায় দলের আট কর্মী আহত হয়েছেন। সিপিএম অশান্তি করছে, উল্টে তৃণমূলের ঘাড়ে
দোষ চাপাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy