শুশ্রূষা চলছে। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ভবঘুরে এক যুবক। অনেকেই দেখেও এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ছাত্রের মুখে ভরঘুরের কথা জেনে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন এক শিক্ষক। পাশে থাকল পুলিশও। শুক্রবার এমনই মানবিক ছবি উঠে এল নারায়ণগড়ের চাতুড়িভাড়া সংলগ্ন এলাকায়।
আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে মকরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ দিন সকালে নারায়ণগড়ের চাতুরিভাড়া-কুনারপুর গ্রাম সড়কে আশ্রমের কাছে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ভবঘুরে যুবক। মাথা ফেটে রক্ত পড়ছিল। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন যুবক। রক্তাক্ত আহত যুবকের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। কয়েকজন ছাত্র সকালে নারায়ণগড় বাজারে টিউশনে যাচ্ছিল। তারাই শিক্ষক খোকন খাটুয়াকে ঘটনাটি জানায়। নারায়ণগড়ের বাসিন্দা খোকন মালদহ জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকের চিকিৎসার তোড়জোড় শুরু করেন। জল খাইয়ে প্রাথমিক শুশ্রূষার পর খবর দেন নারায়ণগড় থানায়। পুলিশ এসে আহত যুবককে হাসপাতালে পাঠায়।
ভবঘুরে যুবক কীভাবে আহত হলেন তা সঠিক জানা যায়নি। স্থানীয়দের বক্তব্য, কোনও গাড়ি তাকে ধাক্কা মেরেছে। আবার অনেকের বক্তব্য, ভবঘুরে যুবক খাওয়ার চাইতে গেলে কেউ মাথায় আঘাত করেছে তাঁর। শিক্ষক বলেন, ‘‘ছাত্রদের কাছ থেকে খবর পাই। মাথা অনেকটা কেটেছে। রক্ত বেরোচ্ছিল। দ্রুত হাসপাতাল ভর্তি করতেই হত। পুলিশও সহযোগিতা করেছে।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘যাতায়াতকারীরা প্রাথমিকভাবে আহত যুবককে দেখে কেউ দৃষ্টি দিলেন না। এটাই অবাক লাগছে।’’ হাসপাতালে ভর্তি করেই দায়িত্ব সারেননি শিক্ষক। মকরামপুর থেকে স্থানান্তরের পর খড়্গপুর হাসপাতালে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আহতের পাশে ছিলেন শিক্ষক। তাঁর দেখভাল করেন। খেতে দেন। যুবককে সুস্থ দেখে তবেই বাড়ি ফেরেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy