দলে কোন্দল রুখতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর পর থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে ‘কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার’ বানিয়ে দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সভায় বলে থাকেন। এমনকী তিনি যে নন্দীগ্রামকে বিশেষ গুরুত্ব দেন বার বার নন্দীগ্রামে এসে তা বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে নিজের দলের সংগঠনই যে কিছুটা নড়বড়ে বার বারই দলের মধ্যে কোন্দলে তা সমানে এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা চিন্তায় রেখেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে। আর তাই পঞ্চায়েতের ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নেমেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দলের এক মণ্ডল সভাপতির হুঁশিয়ারির পর নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ মেটাতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসতে চলেছেন শুভেন্দু। বৈঠকের পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে দাবি ওই মণ্ডল সভাপতির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রাম-৪ মণ্ডল সভাপতির বিদ্রোহে অস্বস্তিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলে ভাঙন সামলাতেই আগামী রবিবার বিদ্রোহী মণ্ডল সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন শুভেন্দু। তাঁকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে স্বীকার করে বিদ্রোহী মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘বৈঠকের পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত ৪টি মণ্ডল ভেঙে দুভাগ করা হয়। এই মণ্ডল নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। বিভাজনের আগে অখন্ড মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন চন্দ্রকান্ত। বিভাজনের পরেই মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন চন্দ্রকান্ত। পদত্যাগের পরেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন চন্দ্রকান্ত। তাঁর দাবি, তিনি একা নন, মণ্ডল কমিটির সিংহভাগ সদস্য কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। বিজেপির স্থানীয় কর্মীদের একাংশের দাবি, এই ঘটনার পর তৃনমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব চন্দ্রকান্তর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। চন্দ্রকান্ত বিজেপি ছাড়লে তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন কথাও জানানো হয়। যদিও চন্দ্রকান্তর দাবি, নেতৃত্ব নয়, বন্ধুস্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
দলের অন্দর সূত্রে খবর, ইতিপূর্বে নন্দীগ্রামে দলীয় কোন্দলে দল ছেড়েছেন বিজেপির স্থানীয় নেতা জয়দেব দাস। জয়দেব ও তাঁর অনুগামীরা তৃনমূলে যোগ দিয়েছেন। কিছু দিন আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে নন্দীগ্রামের হরিপুর অঞ্চলে বিজেপির তরফে আগাম প্রার্থী ঘোষণায় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একাংশ। তারই মধ্যে চন্দ্রকান্ত মণ্ডলের বিদ্রোহ নন্দীগ্রামে বিজেপির কোন্দলে নতুন হাওয়া দিয়েছে। বিদ্রোহী নেতা-কর্মীদের একাংশ পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করতে পারেন এমন সম্ভাবনাও প্রবল হচ্ছে। আর সেই সব মাথায় রেখেই নন্দীগ্রাম বিধায়কের এই বেঠক বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও কোথায় বৈঠক হবে তা জানানো হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার ওই বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকে থাকতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পাল, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান পবিত্র কর, তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল সহ নন্দীগ্রামে বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব। মেঘনাদ বলেন, ‘‘রবিবার বৈঠকে থাকবেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক নেতৃত্ব। চন্দ্রকান্তও উপস্থিত থাকবেন। দলে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর জন্যই এই বৈঠক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy