গড় শালবনি এলাকায় ধৃত কুড়মি নেতাদের পরিবারের সদস্যদের পাশে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা এবং মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কুড়মি নেতাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে অভিষেককে কটাক্ষও করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার অভিষেক যখন জনসংযোগ যাত্রা করছেন শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে, ঠিক সেই সময়ে শুভেন্দু পৌঁছলেন ঝাড়গ্রামের গড় শালবনিতে। যেখানে গত সপ্তাহে জনসংযোগ যাত্রা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ধৃত কুড়মি নেতাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শুভেন্দু যান সেখানে।
অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় যে ১০ জন গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গড় শালবনির বাসিন্দা মনমোহিত মাহাতো এবং অনিত মাহাতো নামে দুই ভাই। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। তার পর গ্রামের জলকাদা ভরা রাস্তা পেরিয়ে ধৃত চা বিক্রেতা অজিত মাহাতোর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা। ধৃতদের পরিবারকে সমস্ত রকম আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন শুভেন্দু। ওই গ্রেফতারির ঘটনায় শাসকদল এবং প্রশাসনকে নিশানা করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘ভিডিয়ো দেখে চিহ্নিত করে তার পর গ্রেফতার করা হোক। মাহাতো মানেই তাঁকে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিতে হবে!’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এঁরা কেউ অপরাধী নন। এঁদের কেউ কেউ আবাস যোজনার ঘর পাননি, শৌচাগার হয়নি। সরকারি ভাতাও পাননি। কিন্তু তাঁরা বলতে পারবেন না! আমি এঁদের সঙ্গে আছি। এঁদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব আমার।’’ তিনি জানান, পরে ধৃত কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতোর স্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন।
গত শুক্রবার, ২৬ মে সন্ধ্যায় গড় শালবনি এলাকায় অভিষেকের কনভয় ঢোকার সময় সেখানে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে শুরু হয় অবরোধ। সেই সময় অভিষেকের কনভয়ে থাকা মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলা হয়। এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। আগেই গ্রেফতার হয়েছেন ৯ জন। জেলে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যেই জয় মাহাতো নামে আরও এক জন গ্রেফতার হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy