প্রতীকী ছবি।
কয়েকমাস আগে তৃণমূলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের সাংগঠনিক রদবদল হয়েছিল। সেই রদবদলের জেরে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগ তুলে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। এরপরেই বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। সম্প্রতি দলহীনভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুভেন্দুর জনসংযোগ নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা চলছে। এমন কী তাঁর দলবদলের সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কমিটির পদাধিকারী ও ব্লক সভাপতি পদে রদবদলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হল।
দলের নতুন জেলা পদাধিকারী ও ব্লক সভাপতিদের তালিকায় যেমন শুভেন্দু অনুগামীরা রয়েছেন তেমনই জেলার শুভেন্দুর বিরোধী বলে পরিচিত নেতা-কর্মীদের মুখও রয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারকে চটাতে চাইছে না তৃণমূল তথা শাসক দল। আবার শুভেন্দুর বিরোধীদের উপরেও যে দলের আস্থা রয়েছে তা বোঝাতে সাংগঠনিক ভারসাম্য বজা রাখতে চেয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।
বুধবার তমলুকে সাংসদ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী দলের জেলা পদাধিকারীদের তালিকা ঘোষণা করেন। তালিকায় থাকা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর পদে বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, বিধায়ক অখিল গিরি ও জেলা পরিষদের প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী, মুখপাত্র হিসেবে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডলের নাম আগেই ঘোষণা করেছিলেন দলের রাজ্য কমিটি। জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদে ১৮ জনের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয় এ দিন। তাতে জেলা সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, কোলাঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরীর মতো কয়েক জন অধিকারী বিরোধী শিবিরের থাকলেও অধিকাংশই অধিকারীদের অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। তবে ব্লক সভাপত পদে রদবদল নিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী। এ দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিশির বলেন, ‘‘কিছুক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরা ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে পারবেন বলে আশা করছি।’’ সেই সঙ্গে জেলা সভাপতি আরও জানান, বিভিন্ন বিষয় ও দিক বিচার বিশ্লেষণ করেই দলের পদাধিকারীদের নির্বাচন করা হয়েছে। আমাদের দলের ফোরাম রয়েছে। আমাদের তরফেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।আলোচনা করেই পদাধিকারী করেছে দল।’’
এ দিন অব্যর্থ ভাবেই সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুর দলবদলের প্রসঙ্গ ওঠে। যে সম্ভাবনাকে কার্যত নস্যাৎ করে দেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দুবাবুর দলের প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। তিনি দলেই আছেন।মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দলে নেই বলে ধারণা হল কেন।’’
পাশাপাশি জেলায় বিজেপির প্রভাব বাড়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জেলার কিছু জায়গায় বিজেপির অল্প শক্তি থাকলেও আমাদের দলের বিরুদ্ধে জেতার কোনও সম্ভবনা নেই।’’
এদিন বৈঠকে শিশিরবাবুর উপস্থিতিতেই জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি পার্থসারথি মাইতি দলের যুব সংগঠনের ব্লক সভাপতি সহ অন্যান্য পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অর্ধেন্দু মাইতি ও আনন্দময় অধিকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy