ফাইল চিত্র।
চার চাকার গাড়ি নিয়ে ওয়ার্ডে যাওয়া যাবে না। বাইকে বা হেঁটে ঘুরতে হবে। নীরবে কাজ করতে হবে।
শুধু তাই নয়, ওয়ার্ডে ঘুরে কী অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা জানাতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। শনিবার খড়্গপুরে দলের ওয়ার্ডস্তরের পর্যবেক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু নিজে। জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দুর বার্তা, ‘‘আমি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ করে দেব। ওই গ্রুপে কেউ গুড মর্নিং কিংবা গুড নাইট মেসেজ পাঠাবেন না।’’
লোকসভায় ধাক্কার পরে দলকে পুরনো দিনে ফেরার বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মেদিনীপুরে দলের সভামঞ্চও ছিল সাদামাঠা। গোয়ালতোড় থেকে দলের কর্মী-সমর্থকেরা এসেছিলেন বাইকে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেলশহরে শুভেন্দুর বার্তা দলকে জনমানসে সাধারণের পার্টি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এ দিন সন্ধ্যায় খড়্গপুরে পুরসভার সভাঘরে দলের সাংগঠনিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। ছিলেন দলের ওয়ার্ডস্তরের পর্যবেক্ষকেরা। আগেই ওয়ার্ডস্তরের পর্যবেক্ষকদের নামের তালিকা চেয়েছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি সেই তালিকা তাঁকে দেন। ওই পর্যবেক্ষকদের নিয়ে এ দিনই প্রথম বৈঠক করেন শুভেন্দু। অজিত মানছেন, ‘‘শুভেন্দু সাংগাঠনিক বৈঠক করেছেন। দলের নানা বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে।’’ বৈঠকে ছিলেন দলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে, পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার প্রমুখ। দল সূত্রে খবর, একাধিক নেতা শুভেন্দুর ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন। শুভেন্দুর বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ে কেউ কেউ কাজ করছেন না। কয়েকজন শুধু আজ করে দেব, কাল করে দেব বলে সময় ‘কিনছেন।’ শুভেন্দু স্পষ্ট জানান, গড়িমসি চলবে না। নির্দিষ্ট সময়েই কাজ করতে হবে।
লোকসভায় রেলশহরে বিজেপির থেকে বিপুল ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। সামনে খড়্গপুর বিধানসভার উপ-নির্বাচন। তার আগে সংগঠন গোছানোয় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের তরফে জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু। রেলশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাছাই করা কর্মীদের নিয়ে আগেই দফায় দফায় বৈঠক শুরু করেছিলেন শুভেন্দু। এ দিনও কয়েকটি ওয়ার্ডের কর্মীদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেছেন। তার আগে ওয়ার্ডস্তরের পর্যবেক্ষকদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে ওয়ার্ডস্তরের পর্যবেক্ষকদের শুভেন্দুর স্পষ্ট বার্তা, কারও চার চাকা গাড়ি থাকতে পারে। তবে তা দলের শহর কার্যালয়ের কাছে রেখে বাইকে বা হেঁটে ওয়ার্ডে যেতে হবে। বৈঠকে শুভেন্দুর স্পষ্ট বার্তা, ‘রাত ১২টায় ফোন বাজলেও ধরতে হবে। আমি ‘ডেডিকেটেড’ নেতাই চাই।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, ফের ১৮ অগস্ট খড়্গপুরে আসবেন শুভেন্দু। এর আগে পর্যবেক্ষকদের ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু। কে কোন ওয়ার্ড দেখবেন, দলের তরফে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। বৈঠক শেষে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘শুভেন্দু বুঝিয়ে দিয়েছেন, ওঁর অভিধানে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তৃণমূল পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy