Advertisement
১০ জানুয়ারি ২০২৫
Netai Incident

নেতাই মামলায় ফের জামিন জেলবন্দির

সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলছেন, "ওই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি দিন জেলে বন্দি ছিলেন। ৭৮ বছরের অবনীবাবু অসুস্থ।

অবনীভূষণ সিংহ।

অবনীভূষণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৫
Share: Save:

নেতাই কাণ্ডের অন্যতম জেলবন্দি অভিযুক্ত আশি ছুঁইছুঁই অবনীভূষণ সিংহের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ অবনীভূষণকে জামিনে জেলমুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে নেতাই কাণ্ডে ২০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৭ জনই জামিন পেলেন।

এ দিন শীর্ষ আদালতে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী অমরজিৎ সিং বেদীর সওয়াল ছিল, অভিযুক্ত দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে জেলবন্দি। অথচ নেতাই মামলার বিচার এখনও শেষ হয়নি। ২০২২-এর অগস্টে অন্যতম অভিযুক্ত ফুল্লরা মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর হাই কোর্টে আরও ১৫ জন অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হয়। নেতাই গ্রামের বাসিন্দা ৭৮ বছরের অবণীভূষণ ২০১১ সালে গ্রেফতার হন।

সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলছেন, "ওই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি দিন জেলে বন্দি ছিলেন। ৭৮ বছরের অবনীবাবু অসুস্থ। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি এটা একটা ষড়যন্ত্র।’’ সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকারেরও বক্তব্য, ‘‘নেতাইয়ের ঘটনা একটি গভীর চক্রান্ত ছিল। ধীরে ধীরে সত্য উদ্ঘাটিত হবে।’’ অবনীভূষণের ছেলে অনুপ সিংহ বলছেন, ‘‘বাবা বেশির সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যায় জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডেচিকিৎসাধীন থাকেন।’’

ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু অবশ্য বলছেন, ‘‘গণহত্যার ঘটনায় যদি অভিযুক্তরা এ ভাবে জামিন পেয়ে যান, তাহলে সেই ব্যর্থতার দায় তদন্তকারী সংস্থার। এতে রাম-বাম আঁতাতের প্রভাবও থাকতে পারে।’’ বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডুর পাল্টা, ‘‘রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার দায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর চাপানো হচ্ছে।’’

নেতাই গ্রামে রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। চার মহিলা-সহ ৯ গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর রাজ্য পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অবণীভূষণ। পরে ধরা পড়েন অনুজ পাণ্ডে ও চণ্ডী করণ। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেলে যান ফুল্লরা মণ্ডল। জামিনে মুক্ত ফুল্লরা এখন নেতাই গ্রামে নিজের বাড়িতেই থাকেন। নেতাই কাণ্ডে এখন তিন জন মাত্র মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন। তাঁরা হলেন নেতাই গ্রামের নবগোপাল সানকি, শুভেন্দু মণ্ডল ও রামগড়ের মুড়ারের বাসিন্দা নিরঞ্জন কোটাল।

অন্য বিষয়গুলি:

Jhargram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy