পুরনো মেজাজে: স্কুল খোলার প্রথম দিনে তমলুক হ্যামিল্টন প্রাথমিক স্কুলে। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা দিনদু’য়েক আগে শোনার পরেই উচ্ছ্বাসিত হয়েছিল পড়ুয়ারা। সেই উচ্ছ্বাসের জোয়ার বুধবার আছড়ে পড়ল প্রাথমিক এবং জুনিয়র হাইস্কুলের মতো অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রায় দু’বছর পর স্কুল খোলার প্রথম দিনেই জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে হাজির হল প্রায় ৭৪ শতাংশ পড়ুয়া। যা দেখে খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা।
২০২০ সালের মার্চ থেকে হয় বন্ধ প্রাথমিক, হাইস্কুল-সহ প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা। মাঝে কিছুদিন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য ক্লাস চালু করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণিরা স্কুলে যেতে পারেনি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাথমিক এবং হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচি চালু হয়। তাতে খুশি ছিলেন না অভিভাবক এবং শিক্ষকদের একাংশ। শেষে এক সপ্তাহ ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ চলার পরে রাজ্য সরকার সমস্ত স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট ৩২৬৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়াও হাইস্কুল ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র, হাইমাদ্রাসা মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার স্কুল রয়েছে এই জেলায়। বুধবার সব স্কুলেই পড়ুয়াদের উপস্থিত লক্ষ্যণীয়। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতরের হিসাব অনুযায়ী, প্রাথমিক এবং পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার হাজিরা এ দিন ছিল ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৩০ জন। শতাংশ হিসাবে যা দাঁড়ায় ৭৩.৩২। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক কার্তিক মার্জিত এদিন নন্দকুমার ও মহিষাদল এলাকার সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকেরাও উৎসাহিত।’’ আবার, হাইস্কুলগুলিতে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস হয়েছে এ দিন। ওই বিভাগে ৮০ শতাংশ পড়ুয়া হাজির হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র বলেন, ‘‘পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ারা ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে গড়ে ৮০ শতাংশ হারে উপস্থিতি ছিল। খুবই ভাল সাড়া মিলেছে।’’
কাঁথি মহকুমার কোথাও স্কুলের গেটে ঢোকার মুখে হাতে জীবাণুনাশক তরল তুলে দেওয়া হয় ছাত্রদের হাতে। আবার কোথাও পড়ুয়াদের চকোলেট বিলি করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে ঢুকতেই পুরনো ছবি ফিরে পাওয়া গিয়েছে স্কুলের। কাঁথি মহকুমা এলাকায় ৫০টির বেশি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। নবম এবং দশম শ্রেণি রয়েছে এমন স্কুলের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি। এছাড়া, জুনিয়র হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নার্সারি স্কুল— সব মিলিয়ে সংখ্যাটা হাজারের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। তবে এ দিন কোথাও সে রকম কোনও সমস্যার বিষয়ে খবর মেলেনি। এগরা মহকুমার সমস্ত প্রাথমিক স্কুল এদিন খোলা হয়েছে। কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কম ছিল। ওই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দাবি, প্রথম দিন বলে স্কুলে পড়ূয়া কম এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy