ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে একাধিক গাছ । নিজস্ব চিত্র।
কোথাও উপড়ে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। কোথাও ভেঙে পড়েছে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাছ। উড়েছে বাড়ির টিনের ছাউনি!
গভীর রাতে কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে পটাশপুরের টেপরপাড়ার একাধিক এলাকা। বড়সড় ঝড়ের তেমন কোনও পূর্বাভাস না থাকলেও প্রকৃতির এমন রোষে হতবাক এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকাল থেকে জেলায় বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ অল্পবিস্তর বৃষ্টি হচ্ছিল। ব্যতিক্রম হয়নি পটাশপুরে টেপরপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকাও। কিন্তু রাত সওয়া ১টার দিকে হঠাৎই একটি প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়ে। তার কিছুক্ষণ পরেই এলাকায় প্রবল গতিতে বাতাস বইতে থাকা। সেই ঝোড়ো হাওয়ায় আধ মিনিটের মধ্যেই টেপরপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৫০০ বর্গ মিটার এলাকা তছনছ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী এক জরি শিল্পী বলেন, ‘‘রাতে জরির মেশিন বন্ধ করে দোকানের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ শো-শো শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। মুহুর্তে দোকানের ছাউনি বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে পাকা রাস্তায় উপর ফেলে দিল।’’
ওই এলাকায় শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক বাড়ি ও দোকানের ছাউনি উড়ে গিয়েছে, পটাশপুর-বাজকুল সড়কের উপরে ভেঙে পড়ে রয়েছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তারের একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। শতাধিক গাছপালা ভেঙেছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে ফল এবং আনাজ বাগান। ঝড়ের গতিবেগ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, বেশ কিছু গাছ শিকড় সমেত উপড়ে পড়েছে। রাস্তার উপরে ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ পড়ে এ দিন ভোরে রাস্তায় যান চলাচল সাময়কি ব্যাহত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায়, রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে টেপরপাড়া সংলগ্ন এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি অনল সাহু বলেন, ‘‘ঝড়ের তাণ্ডবে আমার গাছের বাগান সম্পূর্ণ ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে।’’
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ঝড়ে টেপরপাড়া এবং নতুনপুকুর সংলগ্ন এলাকায় আটটি বাড়ি ও কয়েকটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছ ও ফলের বাগান। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি। ঝড়ে হতাহতের খবরও নেই। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, ‘‘টেপরপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার রাতে কিছু সময়ের জন্য ঝড় হয়েছিল। তাতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ভাঙলেও প্রাণহানি হয়নি।’’
এ দিন সকালে টেপরপাড়া পরিদর্শন করেন পটাশপুর-১ এর বিডিও পারিজাত রায়। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আটটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দোকান ও গাছ ভেঙেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ব্লকে আবেদন জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে ফাঁকা জায়গায় ঝড় হওয়ায় কেউ হতাহত হননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy