মাস্ক পরেই মহালয়ার তর্পণ। তমলুকে রূপনারায়ণের তীরে। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস
দুর্গাপুজো তো বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসব ঘিরে আবেগ তো থাকবেই। আমার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার একটি গ্রামে। প্রশাসনিক আধিকারিক হিসেবে কর্মসূত্রে বছরের অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতে হয়। তবে পুজোর সময় বাড়িতে যাওয়া নিয়ে একটু বেশি আগ্রহ থাকে। পরিবারের সকলের সঙ্গে, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ মেলে। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে মনে হয় আর পুজোয় বাড়িতে থাকা হবে না।
অন্য বছর বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি একদিন সপরিবার কলকাতায় প্রতিমা দর্শনে যাওয়া হয়। গত বছর একদিন হলদিয়া শহরেও গিয়েছিলাম। কিন্তু এবার করোনা মোকাবিলার জন্য পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। লকডাউন পর্বে বহু পরিযায়ী মেচেদা স্টেশন হয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছেন। আমাদের ব্লকের মেচেদা পথসাথী অতিথিশালায় তাঁদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। গত মার্চ থেকে আমরা প্রশাসনিক আধিকারিক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ— সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনা মোকাবিলা করছি।
বৃহস্পতিবার ছিল মহালয়া। করোনা আবহের মধ্যে এবার কোথাও কোথাও দুর্গাপুজোর আয়োজন হচ্ছে। তবে মানুষের সুরক্ষার জন্য সব রকম সতর্কতা বিধি যাতে মানা হয়, সে জন্য আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে। দায়িত্বও বেড়ে গিয়েছে শতগুণে। তাই এবার দুর্গাপুজোয় বাড়িতে যাওয়ার বা কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাওয়া হয়তো হবে না। তবে মানুষ যাতে সুরক্ষিতভাবে থেকে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য চেষ্টা করব। এই কঠিন পরিস্থিতি আমরা সমবেতভাবে কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আশাবাদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy