Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মমতার সফরের আগে প্রকল্পের কাজ দেখতে দিঘায় বিদ্যুৎমন্ত্রী

 দিঘায় মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দেখছেন শোভনদেব।

দিঘায় মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দেখছেন শোভনদেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০০:২৪
Share: Save:

দিঘায় মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুতের কেবল বসানো ও বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন ও প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য আগামী ১৯ অগস্ট দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা। তার আগে প্রকল্পের কাজ কতটা এগিয়েছে, তা সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

সোমবার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে মন্ত্রী নিজেই শঙ্করপুর থেকে দিঘার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। মাটির কতটা নীচ দিয়ে বিদ্যুতের কেবল পাতা হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এই কাজের জন্য মাটি খোঁড়ার ফলে পর্যটকদের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনও অসুবিধে হচ্ছে কিনা, সে বিষয়েও বিশদে খোঁজ নেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ৭৪ টি শহরে মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের কাজ হবে। এর মধ্যে দিঘা অন্যতম। মাস ছয়েক আগে দিঘায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদাররা কাজে যাতে ঢিলেমি না করে, সে দিকে নজরে রাখতে মন্ত্রী এদিন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের বলেন। এ ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ডিসেম্বর মাসে দিঘায় এসে ওল্ড দিঘায় বিদ্যুৎ দফতরের যে অতিথিশালায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন, সেই অতিথিশালার বর্তমান অবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে মন্ত্রী খোঁজ নেন। মন্ত্রী বলেন, “দিঘার এই প্রকল্পের কাজ সামনের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য প্রাথমিক ভাবে সময়সীমা ধার্য হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ করতে পারবো।’’ তিনি জানান, রামনগরে বিদ্যুতের সাব স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনা সফল হলে, দিঘা-সহ উপকূল এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা থাকবে না।

দিঘার অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ যতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার করার কথা, তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে ট্রান্সফরমারের উপর চাপ পড়ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে হোটেলগুলিকে সচেতন হতে বলবো।’’পাশাপাশি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অনেকের দাবি, তিন মাস পর পর বদলে এক মাস অন্তর বিল পাঠাক বিদ্যুৎ দফতর। এতে বিদ্যুতের ইউনিট পিছু খরচ কমবে বলে তাঁদের দাবি।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুৎ দফতরে কর্মীর সংখ্যা কম। ফলে প্রতি মাসে গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিল করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীসংখ্যা বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। আমরা সেটা চাইছি না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sovandeb Chattopadhyay Digha Mamata Banerjee TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy