কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দুকে আনল বিজেপি। — ফাইল চিত্র
সৌম্যেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপি-র সাংগঠনিক স্তরে ঢুকে পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের আধিকারী পরিবার। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে সৌম্যেন্দুকে এনেছে বিজেপি।
কাঁথি জেলা কমিটি ঘোষিত হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার নয়া জেলা কমিটির পদাধিকারীদের নাম প্রকাশ্যে আসে। নবগঠিত ওই কমিটিতে তাপসকুমার দোলুই এবং মমতা মাইতির সঙ্গে জেলার সাধারণ সম্পাদকের পদ অলঙ্কৃত করছেন সৌম্যেন্দুও।
সৌম্যেন্দুর কথায় অবশ্য, ‘‘বিজেপি-তে অধিকারী পরিবারের যাত্রা শুরু বলাটা ঠিক হবে না। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডিসেম্বরে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলাম। সে সময় জেলা কমিটিতে যোগ দিয়ে বিধানসভার জন্য লড়াই করেছি। যার ফলে কাঁথিতে বিজেপি ভাল ফল করেছে। এ বার সেই লড়াইয়ের পুরস্কার স্বরূপ দলীয় নেতৃত্ব আমার উপর নতুন দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। আমার এখন মূল লক্ষ্য সামনের পুরসভা নির্বাচনে কাঁথি এবং এগরা পুরসভার জয় ছিনিয়ে নেওয়া। সেই লক্ষ্যেই কাজে ঝাঁপাব।’’
নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে ওই পদ সাংবিধানিক, বিজেপি-র সাংগঠনিক নয়। সে দিক থেকে দেখলে বিজেপি-র সংগঠনে অধিকারী পরিবারের প্রথম সদস্য হিসাবে সৌম্যেন্দুই যাত্রা শুরু করলেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠদের একাংশের মতে, তৃণমূলের পর এ বার বিজেপি-তেও অধিকারী-রাজ কায়েম হওয়ার সূচনা হয়ে গেল।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলে এক সময় কাঁথির অধিকারী পরিবারের কর্তৃত্ব কায়েম ছিল। সৌম্যেন্দু ছিলেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং প্রশাসক। শুভেন্দু ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। বাবা শিশির অধিকারী এখনও খাতায়কলমে কাঁথির সাংসদ। সেজছেলে দিব্যেন্দু অধিকারীও বর্তমানে তমলুকের সাংসদ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটার মামুদ হোসেনের কথায়, ‘‘এটা অধিকারী পরিবারের বৈশিষ্ট্য। ওঁরা যেখানেই যান সেখানে ধাপে ধাপে ক্ষমতার কেন্দ্রে জায়গা করে নেন। এই দলটাও এ বার অধিকারী পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে পড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে অধিকারী পরিবারের দাপট কাঁথিতে শেষ হয়ে গিয়েছে। ওঁরা তৃণমূলের বিরোধী দলে আছেন। যে পদেই থাকুন তাতে তৃণমূলের কিছু আসে যায় না। সামনের পুরসভা নির্বাচনে ওঁরা হারিয়ে যাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy