দিদিকে বলো কর্মসূচিতে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। নিজস্ব চিত্র
জলপ্রকল্প হবে। কিন্তু কবে! বছর তো পার হয়ে গেল।
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে এমন প্রশ্নই শুনলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সমস্যার আশু সমাধান সম্ভব নয়। কারণ, জমি নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। মন্ত্রী তাঁর দফতরের আধিকারিকদের বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার পিংলা বিধানসভার কুসুমদা গ্রাম পঞ্চায়েতের খিরিন্দা গ্রামে যান মন্ত্রী সৌমেন। এ দিন ওই গ্রামে যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে দিদিকে বলো কর্মসূচির আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করতে যান মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অজিত ভৌমিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ মাইতি প্রমুখ। মন্ত্রী এ দিন এলাকার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন রাজ, দিলীপ দে, শক্তিপদ ভঞ্জ, দুর্গাপ্রসাদ দে ও সমীরণ দে-র বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। সেখানেই উঠে আসে এলাকার জল ও রাস্তাঘাট নিয়ে নানা অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েকবছর ধরে ওই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। জল সমস্যার সমাধানে বারবার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এর পরে বছর খানেক আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সুদছড়ায় একটি জলাধার গড়ে জল সরবরাহের প্রকল্পের অনুমোদন হয়। পাওয়া যায় জমিও। তবে এখনও ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এদিন তাই দফতরের মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে এই জল সমস্যার কথা তুলে ধরেন খিরিন্দার গ্রামবাসীরা। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “আসলে যিনি ওই প্রকল্পের জন্য জমি দেবেন বলেছিলেন, তিনি এখন জমি দিতে চাইছেন না। কয়েকদিনের মধ্যে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা। এই জমি জট নিয়ে সমস্যা হওয়ায় কাজে দেরি হচ্ছে। নতুন জমি দেখা হয়েছে। কাজ হবে।” মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। সৌমেন বলেন, “জল নিয়ে কিছু মানুষ সমস্যার কথা বলেছে। ওটা আমার দফতরের বিষয়। আমি ওঁদের সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি। এমনকি, সঙ্গে-সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারদের বিষয়টি দেখতে বলেছি।”
এ দিন শুধু জল নয়, রাস্তাঘাট নিয়েও নানা অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে হয়েছে মন্ত্রীকে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকার মূল রাস্তা তুলনায় ভাল হলেও গ্রামীণ রাস্তা বেহাল। তাই গ্রামীণ রাস্তা ভাল করার দাবি জানান গ্রামবাসীরা। মন্ত্রী বলেন, “রাস্তা নিয়ে যে অভিযোগ মানুষ জানিয়েছেন সেগুলি সবই বাড়ির সামনের রাস্তা। আমি বিষয়টি পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের দেখতে বলেছি।” এ দিন ওই এলাকায় বাড়ি-বাড়ি ঘোরার পরে গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনাও করেন মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy