লক্ষ্মীরাম টুডু। — নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় প্রাথমিক শিক্ষককে খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, অপরাধজনক ভাবে অনধিকার প্রবেশ, স্বেচ্ছায় গুরুতর আঘাত করা, মহিলাদের উপর হামলা, ভয় দেখানো ইত্যাদি নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। তফসিলি জাতি ও জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনের ধারাতেও রুজু করা হয়েছে মামলা। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ডেবরার শ্রীরামপুরে পথ অবরোধ করেন ভারত জাকাত মাঝি পরগনার সদস্যরা। অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনার জের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বেপরোয়া বাইক চালানোর প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হন লক্ষ্মীরাম টুডু (৫৬) নামে ওই শিক্ষক। তাঁকে গুরুতর জখম ভর্তি করানো হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল মঙ্গলবার। পরে গ্রেফতার করা হয় আরও এক জনকে। ধৃতদের মধ্যে ২ জনকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাকি ৩ জন আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে। লক্ষ্মীরামের পরিবারের অভিযোগ, ডেবরার শ্রীরামপুর এলাকায় বেপরোয়া বাইক চালাচ্ছিলেন কয়েক জন যুবক। তার প্রতিবাদ করেন লক্ষ্মীরাম। এর পর বাড়িতে চড়াও হয়ে লক্ষ্মীরামকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে শ্রীরামপুর এলাকায় অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা। ওই সংগঠনের ডেবরা ব্লকের সহ-সভাপতি ছিলেন লক্ষ্মীরাম। তাঁর পুত্র রাজীব টুডু সেনাকর্মী।
বুধবার ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় লক্ষ্মীরামের দেহ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) পিনাকি দত্ত বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy