প্রতীকী ছবি।
শীত পড়তেই শিল্প শহরজুড়ে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। একের পর এক অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। একাধিক ক্ষেত্রে পুলিশের উদাসীনতার অভিযোগ উঠছে।
সূত্রের খবর, ২৬ ডিসেম্বর এক দল দুষ্কৃতীর হাতে জখম হয়েছিলেন এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী। প্রকাশ প্রামাণিক নামে ওই কর্মী ভোর পাঁচটা নাগাদ সুতাহাটা থেকে নিজের অফিসে আসছিলেন। পথে দুটি বাইকে এসে তাঁর পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে প্রকাশ ছুটে পালান। তাঁকে ধরতে না পারলেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আহত প্রকাশকে তমলুকের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে নিজের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন একটি কারখানার কর্মী। রাত ১০টা নাগাদ হলদিয়ার শোভারামপুরে দুই দুষ্কৃতী পথ আটকায় ওই কর্মীর। তাঁর কাছ থেকে টাকা চাইলে ওই কর্মী তা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মারধর করে তাঁর কাছ থেকে নগদ এক হাজার টাকা, দরকারি কাগজপত্র ও কারখানা গেট পাস ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁর জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে বলে লিখে দিতে বলে। ওই কর্মীর অভিযোগ, ছিনতাইয়ের ঘটনা অস্বীকার করার জন্য চাপ দেয় পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীদের একটি বড় চক্র এর পিছনে রয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক তারা শিল্প শহরের বিভিন্ন এলাকায় পথচলতি মানুষের উপর হামলা করছে। সাধারণত বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের যখন শিফট্ পরিবর্তন হয় ঠিক সেই সময়ে তারা এই ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রাত ৯টা থেকে ১০টা, ভোর পাঁচটা- ছটা নাগাদ হামলার ঘটনা ঘটছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই সব ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। কেউ গ্রেফতারও হয়নি বলে জানা গিয়েছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বাইকে করে এসে হঠাৎ হামলা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তাদের কথামতো জিনিসপত্র, টাকাপয়সা তাদের হাতে না তুলে মারধর করা হচ্ছে। পর পর এমন ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন হলদিয়ার বাসিন্দারা। এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী বলেন, ‘‘প্রতিদিন ভোরে এভাবেই কাজে যোগ দিতে যেতে হয়। যে ভাবে রাস্কায় দুষ্কৃতীদের হামলাক ঘটনা কানে আসছে তাতে বাড়ি থেকে বেরোতে আতঙ্ক হচ্ছে।’’ স্থানীয় এক মহিলার কথায়, ‘‘সামনেই চারটে বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ রয়েছে। বিয়েবাড়ি মানেই ফিরতে রাত হওয়াই স্বাভাবিক। দুষ্কৃতীদের উৎপাত যে ভাবে বাড়ছে তাতে নিরাপদ বোধ করছি না।’’
হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘হলদিয়াতে ভোরে ও রাতের দিকে আরও বেশি করে টহলদারি ও নজরদারি বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। "
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy