মৌচাকের মতো ঢিবি করে থাকে। দেখতে আসলে কেঁচোর মতো। এমন একটি পোকা মিলেছে দিঘায়। এই প্রথম বঙ্গোপসাগর উপকূলে এ রকম প্রজাতির পোকার সন্ধান পেলেন দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়ামের দুই বিজ্ঞানী। দিঘা মোহনার কাছে সৈকতে মৌচাক পোকা খুঁজে পান তাঁরা। ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি সায়েন্স লেটার' নামে এক জার্নালে তাঁদের আবিষ্কারের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক শাখা এবং দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়ামের দুই বিজ্ঞানী সুব্রমনিয়াম বালাকৃষ্ণন, প্রসাদচন্দ্র টুডু এবং ওড়িশার বালেশ্বরের ফকিরমোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-ছাত্রী জ্যোৎস্না প্রধান একটি ক্ষেত্র সমীক্ষা করেন। সেখানেই সন্ধান মেলে মৌচাক পোকার। নতুন আবিষ্কৃত পোকাটির বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘সাবেল্লারিয়া অ্যালভিওলাটা’। অতীতে এ রাজ্যের উপকূলে এ ধরনের প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগে কেরলের আঝিকোড় উপকূলে পাওয়া গিয়েছিল মৌচাক পোকার। দিঘা মোহনায় ‘সাবেল্লারিয়া অ্যালভিওলাটা’র ন’টি নমুনা সংগ্রহ করেন দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়ামের বিজ্ঞানীরা। যাদের দেহের দৈর্ঘ্য ১৬.৪৭ থেকে ২৮.৯৮ মিলি মাইক্রন। মৌচাকের মত দেখতে প্রাচীর তৈরি করে। সমুদ্রে জোয়ারের সময় প্ল্যাঙ্কটন বা ডেট্রিটাস খায়।
বিজ্ঞানী দলের অন্যতম সদস্য প্রসাদরঞ্জন টুডু বলেন, ‘‘আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের উপকূলে এ ধরনের মৌচাক পোকার উল্লেখ ছিল। আমাদের দেশেও ইদানীং এই পোকা দেখা গিয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বিশেষ করে পূর্ব ভারতের উপকূলে এই প্রথমবার এ ধরনের পোকা দেখা গিয়েছে। কেঁচোর মতো দেখতে হলেও এরা বালি দিয়ে শক্ত বাসস্থান তৈরি করে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)