Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

অ্যাসিড আক্রান্তদের পাশে সেভ ডেমোক্র্যাসি

অ্যাসিড আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিল ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ফোরাম’। রবিবার ফোরামের এক প্রতিনিধি দল দুই মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায় গিয়ে অ্যাসিড আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৫১
Share: Save:

অ্যাসিড আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিল ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ফোরাম’। রবিবার ফোরামের এক প্রতিনিধি দল দুই মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায় গিয়ে অ্যাসিড আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে।

পরে ফোরামের রাজ্য সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, “অ্যাসিড আক্রান্তদের অনেকেই সময়মতো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। সরকারি উদ্যোগে তাঁদের চিকিৎসাও হচ্ছে না। ওঁদের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার বিঘ্নিত হচ্ছে।”

বিভিন্ন দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর কলকাতায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে ফোরাম। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম অ্যাসিড আক্রান্তদের যথাসময়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তার আগে রবিবার সকালে প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় যান ফোরামের প্রতিনিধিরা। চঞ্চলবাবু ছাড়াও দলে ছিলেন অপু ঘোষ, সুখেন ঘোষ, দেবব্রত রায়। পাঁশকুড়া থেকে দলটি আসে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। ফোরামের বক্তব্য, গত তিন বছরে রাজ্যে ৯২ জন অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই মহিলা। এ দেশে সব থেকে বেশি অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশে। তারপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

২০১৪ সালের জুলাইতে অ্যাসিড আক্রান্ত হয় পাঁশকুড়ার দুই কিশোরী। ২০১৬ সালের জুনে অ্যাসিড আক্রান্ত হয় দাসপুরের এক কিশোরী। এদিন ফোরামের দল আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাঁদের পরিজনদের সঙ্গেও দেখা করে। চঞ্চলবাবুর বক্তব্য, “এঁদের নিয়ে কোনও সংগঠন খুব বেশি মাথা ঘামায় না। ফোরাম বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, অ্যাসিড আক্রান্তদের তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। চিকিৎসার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নেওয়ার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। ফোরাম এঁদের পাশে থাকবে। এঁদের জন্য যেখানে যেতে হয় যাবে।”

অ্যাসিড বিক্রির উপর কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সেই বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে কার্যকরী করারও দাবি জানিয়েছে ফোরাম।

অন্য বিষয়গুলি:

Acid Attack victim help Save Democracy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE