প্রধান শিক্ষিকার আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র বাতিল করতে বাধ্য হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বেলপাহাড়ির একটি সরকারি আদিবাসী বালিকা বিদ্যালয়কে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ২২৩ জন পরীক্ষার্থীর। দিন কয়েক আগে হঠাৎই আপত্তি তোলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তপর্ণা বিশ্বাস। তার ফলে তড়িঘড়ি কেন্দ্র বদল করে তিনটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডও বদলে দিতে হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দিয়েছেন পরীক্ষা আহ্বায়ক।
জানা গিয়েছে, গত বছর পর্যন্ত বেলপাহাড়ি রাষ্ট্রীয় আদিবাসী বালিকা বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ বছরও ওই স্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার দিন দশেক আগে প্রধান শিক্ষিকা আপত্তি তোলেন। পর্ষদের অভিযোগ, তিনি বলেন, স্কুলে এ সব কাজ সামলানোর মতো কর্মী নেই। ফলে এত দায়িত্ব নেওয়া যাবে না। অথচ ততদিনে ওই স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে মাধ্যমিকের সাদা উত্তরপত্র। প্রশাসনিক কর্তারা তপর্ণাদেবীকে বারবার অনুরোধ করেন। লাভ হয়নি।
শেষ পর্যন্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা আহ্বায়ক নির্মলেন্দু দে এবং ঝাড়গ্রাম মহকুমা আহ্বায়ক তপনকুমার পাত্র পর্ষদে যোগাযোগ করেন। পরীক্ষাকেন্দ্রটি বেলপাহাড়ির অন্য একটি বালিকা বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। ২২৩ জন পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড বদলে ফের নতুন করে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ঝাড়গ্রাম মহকুমা আহ্বায়ক তপনকুমার পাত্র বলেন, “ওই প্রধান শিক্ষিকার এমন আচরণে জেলার শিক্ষক মহল ও প্রশাসনিক অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এবং ভবিষ্যতে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে সুপারিশ করা হয়েছে।”
স্কুলের প্রশাসক তথা বিডিও সন্তু তরফদার বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা আমাকে জানান, স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র হলে আদিবাসী আবাসিক ছাত্রীদের পড়াশোনায় সমস্যা হবে। তাই তিনি চাননি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রটি হোক।” তপর্ণাদেবী অবশ্য বলেন, “আমি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy