Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Ramjibanpur

স্বাস্থ্য পরিষেবা অমিল, ঝাঁট পড়ে না রাস্তায়

জঘন্য অপরাধের শাস্তি হিসেবে একসঙ্গে চার জনকে নৃশংস প্রক্রিয়ায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কাজটা কি একুশ শতকের মুখে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের এক মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত ভূমিকাকে চিহ্নিত করে না?

১ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি নালার অবস্থা এমনই। নিজস্ব চিত্র

১ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি নালার অবস্থা এমনই। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামজীবনপুর শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০০:২৫
Share: Save:

বয়সে বৃদ্ধ, কিন্তু পরিষেবার নিরিখে এখনও কাটেনি শৈশব।

১৪২ বছরের পুরনো পুরসভার স্বাস্থ্য এখন বেশ রুগ্‌ণ। তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়া এলাকায় বড় কোনও হাসপাতাল নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবস্থাও শোচনীয়। সেই সঙ্গে রয়েছে নোংরা-আবর্জনার সমস্যা। শহরের রাস্তায় নিয়মিত ঝাঁট পড়ে না। এলাকার নর্দমাগুলির অবস্থাও তথৈবচ। হাল কবে বদলাবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা। আসন্ন পুরভোটের আগে এই সব সমস্যা দেখে ক্ষোভ ছড়িয়েছে পুর এলাকায়।

রামজীবনপুর শহরবাসীর আক্ষেপ, গত পুরভোটে শহরে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছিল শাসক দল তৃণমূল এবং বিজেপির মহাজোট। কিন্তু ক্ষমতায় এসে পুরসভা শহরে নিজস্ব কোনও হাসপাতাল চালু করতে পারেনি। এমনকী, গত পাঁচ বছরে বিজেপির পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে তেমন কোনও সক্রিয়তাও দেখা যায়নি। তার জেরে ৩০ কিলোমিটার দূরে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল কিংবা ৪০ কিলোমিটার দূরের আরামবাগে ছুটতে হয় স্থানীয়দের।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। রয়েছেন কেবল একজন চিকিৎসক। রয়েছে নার্স, কর্মীর অভাবও। অথচ সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর শহরের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। অন্যদিকে রামজীবনপুর পুরসভা বাদে ঘাটালের বাকি পুরসভাগুলিতে নিজস্ব পুর-হাসপাতাল চালু হয়েছে। যেখানে শহরের একাংশ চিকিৎসা পরিষেবা পান। কিন্তু রামজীবনপুর পুরসভায় হাসপাতাল চালু হয়নি। শুধু স্বাস্থ্য পরিষেবাই বেহাল নয়, শহরের একাংশের রাস্তাঘাটও আবর্জনায় ভর্তি। ঝাঁট পড়ে না শহরের মূল রাস্তাতেই। গ্রামীণ এলাকার নর্দমাগুলিও সংস্কার হয়নি। ভ্যাটগুলি থেকে ময়লা সংগ্রহ করা হয় না।

রামজীবনপুর পুর এলাকার চেকপোস্ট, কালীতলা, ক্যানেল অফিস লাগোয়া এলাকা এবং গ্রামীণ এলাকার শেরবাজ, আমদান, কাঁটাগোলা, রামেশ্বরপুর তফসিল এলাকায় সমস্যা বেশি। রামেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা তপন নিয়োগী, কাঁটাগোলার প্রলয় দাসেরা জানালেন, “একে মাটির ড্রেন। তারপর সংস্কার করা হয় না। ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ বার হয়। নাকে চাপা দিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয়।”

পুরবাসীদের ক্ষোভ, বোর্ডের ক্ষমতা দখল নিয়ে বছরখানেক ধরে উত্তপ্ত ছিল শহর। বোর্ড মিটিং, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নজরদারি-সহ নূন্যতম পরিষেবা দিতেও ব্যর্থ পুরসভা। যদিও পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত পাঁচ বছরে ১০-১২ কিলোমিটার ড্রেন পাকা হয়েছে। তবে জল নিকাশির জন্য মূল ড্রেন তৈরি করা যায়নি। রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরী বলেন, “আগের চেয়ে ড্রেনের উন্নতি হয়েছে। শহরের মূল এলাকায় নিয়মিত সাফাইও হয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Ramjibanpur Ramjibanpur Municipality West Bengal Municipal Election 2020
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy