দিঘায় আবার পর্যটকের রহস্যমৃত্যু। আবার হোটেলঘর থেকে মিলল দেহ। শুক্রবার এমন ঘটনায় শুক্রবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্রনগরীতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম চুমকি দাস অধিকারী। ২৪ বছরের যুবতীর বাড়ি পুরাতন মালদহের ফুলবাড়ি এলাকায়। গত মঙ্গলবার দুই যুবক এবং এক যুবতীর সঙ্গে তিনি নিউ দিঘার একটি হোটেলে ওঠেন। দুটো ঘর ভাড়া করেছিলেন তাঁরা। তবে যুবতীর দেহ উদ্ধারের পর তাঁর সঙ্গীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বস্তুত, তাঁদেরই কেউ একজন বাইরে থেকে হোটেলে ফোন করে চুমকির মৃত্যুসংবাদ দিয়েছিলেন। ওই দুই পুরুষ এবং এক মহিলার খোঁজে রয়েছেন তদন্তকারীরা। হোটেলকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁদের কাউকে কিছু না জানিয়ে দুই যুবক এবং এক যুবতী হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। আর ফেরেননি। বিকেলের দিকে তাঁদেরই কেউ একজন হোটেলের রিসেপশনে ফোন করে জানান, এক জন হোটেলের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে দিঘা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট হোটেলের ঘরটি বন্ধ। দরজা খুলে যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সঙ্গীদের সঙ্গে কোনও অশান্তি হয়েছিল। সেখান থেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন যুবতী। শুক্রবার মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এখন মহিলার সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “দিঘার একটি হোটেলঘরে এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
আরও পড়ুন:
দিঘা এবং মন্দারমণির হোটেলে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আবার আত্মহত্যার মামলাও রুজু হয়েছে। বার বার এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।