Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Unnatural Death

আলুচাষে ব্যাপক ক্ষতি, বাজারে বিপুল দেনা মেটাতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গড়বেতার ব্যবসায়ী

আলুচাষিদের ঋণ দিতেন চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। ফলন উঠলে সেই টাকা পরিশোধ করতেন কৃষকেরা। কিন্ত এ বার আলুর ফলন মার খাওয়ায় টাকা ফেরাতে পারেননি চাষিরা। এর জেরেই অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হয়েছেন চিত্তরঞ্জন।

representational image

— প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
গড়বেতা ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২০
Share: Save:

তাঁর কাছ থেকে ধার নিয়ে প্রতি বছর আলুর চাষ করতেন বহু কৃষক। এ বার আলুচাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। ফলে ঋণের টাকাও শোধ করতে পারেননি অনেকে। এতেই ব্যবসায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েন পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার কদমডিহা এলাকার আলু ব্যবসায়ী বছর ৫৫-এর চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। সেই মানসিক চাপ থেকেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে বাড়ির লোকের দাবি।

চন্দ্রকোনা রো়ডে আলু এবং সারের দোকান ছিল চিত্তরঞ্জনের। ১৯৯৮ সাল থেকেই তিনি আলু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায় চড়াইউতরাই দেখেছেন অনেক। এ হেন ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন, তা মানতে পারছেন না তাঁর ঘনিষ্ঠদের একটি অংশ। পরিবার সুত্রে খবর, আলু চাষে ক্ষতি হওয়ায় বেশ কিছু আলুচাষি বকেয়া টাকা ফেরাতে পারেননি। যার কারণে বাজারে বেশ কিছু টাকা দেনা হয়ে পড়েছিল চিত্তরঞ্জনের। সময় মতো টাকা মেটাতে না পারায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এর পর শুক্রবার রাতে বিষ পান করেন তিনি। বাড়ির লোক টের পেয়ে তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে দ্বারিগেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে শনিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবারই মেদিনীপুরে ময়নাতদন্ত হয়।

ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। মৃতের ভাই অলোক মণ্ডল বলেন, ‘‘দাদার আলুর বড় ব্যবসা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ব্যবসায় বিপুল দেনা হয়ে যায়। অনেকেই টাকা পেতেন। তাঁরা টাকা চাইতে তাগাদা দিতে শুরু করেন। এতেই মানসিক চাপে পড়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন দাদা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Businessman Potato
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE