Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Port at Shalukkhali

২৫৩ কোটিতে ‘পরিপূরক বন্দর’

শালুকখালি বন্দরের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭২ কোটি টাকা। কিন্তু কোভিডের সময় কাজ থমকে যায়। পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্প ব্যয় এসে দাঁড়ায় ২৫৩ কোটি টাকা।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:২৪
Share: Save:

অনেক বাধাবিপত্তি সরিয়ে শেষে শালুকখালিতে হলদিয়ার পরিপূরক বন্দরের কাজ শুরু হতে চলেছে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা।

নদী বন্দর হলদিয়ার নাব্যতা ও গভীরতা কমে আসার কারণে একাধিক বিকল্প পথের দিকে ঝুঁকতে হয়েছে বন্দরকে। বিশেষ করে মাঝ সমুদ্রে ট্রান্স লোডিং বা ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে বড় বড় জাহাজ (কেপ সাইজ় ২৯০ মিটারের বেশি দীর্ঘ) থেকে পণ্য খালাস করে ছোট ছোট ভেসেলে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সহযোগী বন্দর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে শালুকখালি।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই বন্দরের নাব্যতা ৯ মিটারের বেশি। বেশি নাব্যতার কারণে বড় জাহাজে সহজে আসতে পারবে শালুকখালিতে। এ দিন তাঁরা জানান, পণ্য পরিবহণে হলদিয়া চলতি আর্থিক বছরে ৫০ মিলিয়ন কার্গো আমদানি-রফতানিতে সক্ষম হয়েছে। এর ধারে কাছে একমাত্র রয়েছে চেন্নাই বন্দর।

শালুকখালি বন্দরের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭২ কোটি টাকা। কিন্তু কোভিডের সময় কাজ থমকে যায়। পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্প ব্যয় এসে দাঁড়ায় ২৫৩ কোটি টাকা। বন্দর নির্মাণের কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র মিলেছে। দরপত্র ডেকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। চেন্নাইয়ে বন্যার প্রকোপ মিটলেই কাজ শুরু হবে। কারণ, চেন্নাই থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের দল আসার কথা আছে এলাকা পরিদর্শন করতে।

শালুকখালিতে ৯ মিটারের গভীরতা পেতে গেলে নদীর কিনারা থাকে প্রায় ১.১কিলো মিটার যেতে হবে। সেই নিরিখে একটি ভাসমান জেটি নির্মাণ করা হবে। এই জেটি ৩০০ মিটার লম্বা হবে। বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘শালুকখালিতে বড় বড় জাহাজ আসতে পারবে। আমরা আশা করছি ২৪০ মিটার এর চেয়ে বড় জাহাজ এই শালুকখালি বন্দরে নোঙর করবে ভবিষ্যতে। এই বন্দরটি নতুন রাঙাফলা চ্যানেল দিয়ে সংযুক্ত হবে।’’

সাগরের বেশ কয়েকটি ‘ডিপ ওয়াটার পকেট’-এ ট্রান্স লোডার রাখা হচ্ছে। এর ফলে সারা বছর পণ্য আনা যাবে। এমনিতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাগরে বড় বড় ঢেউ ওঠে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করা যায় না। অপেক্ষাকৃত শান্ত সময়ে ট্রান্সলোডিং হয়। সারা বছর পণ্য খালাস করার লক্ষ্যে ডিপ ওয়াটার পকেটে বসানো হবে ট্রান্স লোডার। বন্দর কর্তৃক্ষ এ দিন দাবি করেছেন, হলদিয়া বন্দরে নাব্যতার সমস্যায় কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ড্রেজিং-এর পেছনে অর্থ বরাদ্দ কমলেও কার্যকর ড্রেজ়িং হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Haldia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy