প্রযোজক-পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ছবিমুক্তি মানেই তার আগে-পরে বিতর্ক। এই ধারা তাঁর ছবি ‘শিবপুর’ মুক্তির সময় থেকেই। সে সময়েও প্রযোজকদের সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তাঁর। ছবির নায়িকা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন ‘শিবপুর’-এর প্রযোজক। এই নিয়ে ছবিমুক্তির আগে তুমুল অশান্তি। সেই সময় আনন্দবাজার ডট কমকে পরিচালক বলেছিলেন, “যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। আগামীতে নিজের ছবি নিজেই প্রযোজনা করব।” সেই অনুযায়ী তিনি ‘দুর্গাপুর জংশন’ নিজেই প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেছেন।
ছবিটি সদ্য মুক্তি পেয়েছে। প্রযোজক-পরিচালকের সঙ্গে ছবির অভিনেতা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একাধিক প্রেক্ষাগৃহ ‘হাউসফুল’ যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সহকারী পরিচালক মধুবন্তী মুখোপাধ্যায়ের একটি বার্তা ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাঁর বার্তায় স্পষ্ট, তিনি এবং প্রসেনজিৎ চৌধুরী একত্রে ‘দুর্গাপুর জংশন’ পরিচালনা করেছেন। অরিন্দম শুধুই প্রযোজক। ছবির সাফল্যের পিছনে তাঁর কোনও কৃতিত্ব নেই। কিন্তু মধুবন্তীকে তাঁর প্রাপ্য পারিশ্রমিক পুরোটা এখনও দেওয়া হয়নি।
মধুবন্তীর বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই টলিপাড়ায় চর্চা শুরু। মধুবন্তীর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি এবং তাঁর টিম ছবি পরিচালনা করেছেন। অন্য দিকে আনন্দবাজার ডট কমকে অরিন্দম জানিয়েছেন, তিনিই ছবির প্রযোজক-পরিচালক। তা হলে ‘দুর্গাপুর জংশন’-এর প্রকৃত পরিচালক কে? প্রশ্ন উঠেছে। নিন্দকেরা সেই সঙ্গে ধুয়ো তুলেছে, এটিও ছবির প্রচারের অঙ্গ নয় তো? ‘শিবপুর’ ছবির ক্ষেত্রে যেমন হয়েছিল?
আরও পড়ুন:
এই জিজ্ঞাসা নিয়ে অরিন্দমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি তখন ‘হল ভিজিট’-এ নন্দনে। অভিযোগ শুনে বললেন, “সব কথার উত্তর দিলে মুশকিল। আপনারা আমাকে চেনেন। আমিও জানি, আমি কী কী দায়িত্ব পালন করেছি। যে যা বলছে, বলতে দিন।” মধুবন্তী যে শুধু নিজেকে ‘দুর্গাপুর’ ছবির পরিচালক বলে দাবি করেছেন তা নয়! তিনি অরিন্দমকে ‘অযোগ্য’-ও বলেছেন। পরিচালক হিসাবে, চিত্রনাট্যকার-সংলাপ লিখিয়ে হিসাবে। এত অভিযোগ হাসিমুখে মেনে নেবেন! কেন?
প্রশ্ন রাখতেই ফোনের ও পার থেকে সহাস্য জবাব এল, “আমার ছবি প্রথম দিন থেকে ভাল ব্যবসা করছে। এই ব্যবসা আরও কী করে বাড়ানো যায়, সেটাই আমার ভাবনা। তাই কে কী বললেন, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নই।” একটু থেমে অরিন্দম যোগ করেছেন, সত্যিই যদি এ রকম কিছু হয়ে থাকে তা হলে মধুবন্তী পরিচালক গিল্ডের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। প্রয়োজন পড়লে যোগাযোগ করতে পারেন প্রোডাকশন গিল্ডের সঙ্গেও।