কারও সঙ্গে মিশত না। সব সময় পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত। স্বল্পভাষী সেই ছেলেই যে জঙ্গি এবং পহেলগাঁও কাণ্ডের অন্যতম চক্রী, তা জানার পর হতবাক প্রতিবেশীরা। পহেলগাঁও কাণ্ডে নাম উঠে আসার পরই জঙ্গি আদিল হোসেন ঠোকরের অনন্তনাগের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সন্দেহ, এই আদিলই পাক জঙ্গিদের হামলা চালাতে সাহায্য করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (ইগনু) থেকে স্নাতোকত্তর করছিল আদিল। আংশিক সময়ের শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল সে। তার এক প্রতিবেশী হাফিজ় বলেন, ‘‘আদিল কারও সঙ্গে মিশত না। খুব কম কথা বলত। ব্যস্ত থাকত পড়াশোনা নিয়ে।’’ আরও এক প্রতিবেশী গাজ়ি আবার দাবি করেছেন, আদিলকে তাঁরা শান্ত স্বভাবের ছেলে হিসাবেই দেখে এসেছেন। কিন্তু পাশের বাড়ির সেই স্বল্পভাষী ছেলেটিই যে এত বড় কাণ্ড ঘটাবে তাঁরা কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ২০১৮ সালে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল আদিল। বলে গিয়েছিল, যে পরীক্ষার জন্য বদগাঁও যাচ্ছে। কিন্তু গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সেটি ছিল ভুল তথ্য। বদগাঁও যাওয়ার নাম করে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল আদিল। আদিলের মা শাহজ়াদ বানো বলেন, ‘‘বাড়ি ছাড়ার পর আর যোগাযোগ করেনি আদিল। ফোন বন্ধ ছিল। আমরা তিন দিন পর নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। যদি সত্যিই পহেলাগাঁও কাণ্ডে আদিলের হাত থাকে, তা হলে সেনা তাদের মতো ব্যবস্থা নিক। তবে বিশ্বাস করি না আমার ছেলে এই হামলায় যুক্ত।’’
অনন্তনাগের গুরি গ্রামে বাসিন্দা আদিল। ওই গ্রামে প্রায় ৪ হাজার লোকের বাস। স্থানীয় সূত্রের খবর, আদিলের এক ভাই রংমিস্ত্রি। অন্য ভাই গাড়ির শোরুমে কাজ করতেন। এ ছাড়াও এই গ্রামে অনেকেই সরকারি চাকরি করেন। তবে বেশির ভাগ গ্রামবাসীর ছোটখাটো ব্যবসা রয়েছে। কিছু অংশ আবার পর্যটনের সঙ্গে জড়িত।