খড়্গপুরে ডাকাতির চেষ্টা এবং গুলি চালানোর ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
খড়্গপুর শহরের গোলবাজারে গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার হল মোট পাঁচ জন। শুক্রবার দুপুরে ডাকাতির চেষ্টা এবং গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশ। ভিন্রাজ্যে পালানোর সময় ড্রোন উড়িয়ে ওই ডাকাতদলকে পাকড়াও করা হয়। রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায় ডাকাতির মতো এই ডাকাতির চেষ্টার পিছনেও বিহার-যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ধৃতেরা প্রত্যেকেই বৈশালী জেলার বাসিন্দা।
শুক্রবার সকালে সাড়ে ১১টা নাগাদ ডাকাতির চেষ্টা হয় গোলবাজার এলাকায় একটি গয়নার দোকানে। কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গয়নার দোকানের মালিক আশিসকুমার দত্ত। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতদলের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তন্ন তন্ন করে খোঁজ শুরু হয়। কিছু ক্ষণের চেষ্টায় দুষ্কৃতীদের ধরাছোঁয়ার মধ্যেও পেয়ে যান তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ডাকাত দলটি খড়্গপুর শহর থেকে কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে লোধাশুলির দিকে রওনা দিয়েছিল। তাদের ধাওয়া করে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। অন্য দিকে, পুলিশ পিছু নিয়েছে দেখে ফেকো মোড়ের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে বাঁদিকে ঢুকে পড়ে ডাকাত দলের গাড়ি। তার পর গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়িষার দিকে রওনা দেয় তারা। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ বেলিয়াবেড়া থানার রান্টুয়া এলাকায় একটি পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায়। তারা সেখানে ব্যারিকেড তৈরি করে। একটি সাদা রঙের গাড়িকে সন্দেহ হয় তাদের। এত পুলিশ দেখে গাড়ি থেকে নেমে পাঁচ জন দৌড় শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের ধাওয়া করে পুলিশ।
বেলিয়াবেড়া থানা, গোপীবল্লভপুর থানা-সহ ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা থেকে বিশাল সংখ্যক পুলিশ দিয়ে এই তল্লাশি অভিযান চলে। বেলিয়াবেড়া থানার বালিয়া এলাকায় ড্রোন ওড়ানো হয়। তার পরেই ধান জমি থেকে ডাকাতদলের ৫ সদস্যকে পাকড়াও করে পুলিশ।
এ নিয়ে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) কল্যাণ সরকার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) উত্তম ঘোষের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল ডাকাত দলের ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। ধৃতদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’ ঝাড়গ্রাম জেলায় দুষ্কৃতীদের ধরতে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারও। তিনি বলেন, ‘‘ধৃতদের অস্ত্র এবং গাড়ি আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy