গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায় একটি গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা হল শুক্রবার। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় চলল গুলিও। তাতে আশিসকুমার দত্ত নামে ওই স্বর্ণ বিপণির মালিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। দোকানের এক কর্মীও আহত হয়েছেন। তিনি খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গয়নার দোকানের মালিক আশিসের বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। সকালে তিনি নিজের দোকানে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে। অভিযোগ, দোকান খোলার সময় আচমকা চার-পাঁচ জন আশিসকে ঘিরে ধরেন। তাঁর দোকানে ঢোকার চেষ্টা হয়। বাধা দিলে এক জন আশিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। গুলিটি লাগে আশিসের পেট এবং বুকের মাঝখানে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন ওই দোকানমালিক। অন্য দিকে, ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় দোকানের এক কর্মীর উপরও চড়াও হয় ডাকাতদল। অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতে কোপ দেওয়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের দোকানিরা ছুটে এলে ওই চার-পাঁচ জনের দলটি চম্পট দেয়।
সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানমালিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বস্তুত, গত কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি এবং ডাকাতির চেষ্টার খবর মিলেছে। একই দিনে এবং প্রায় একই সময়ে একই সংস্থার গয়নার শো-রুমে ডাকাতি হয় পুরুলিয়া শহর এবং রানাঘাটে। ইতিমধ্যে দুই ডাকাতির ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পরেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় একটি সমবায় ব্যাঙ্কে। পুরুলিয়ায় একটি ব্যাঙ্কেও ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে বার বার এমন ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ওই ডাকাতদলকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy