সতর্কতা: রাস্তায় লেখা সাবধানবাণী। চাঁদড়ায়। ছবি: কিংশুক আইচ
‘হাতি হইতে সাবধান।’
কোনও ব্যানার বা ফেস্টুন নয়, চাঁদড়ার চিলগোড়া থেকে শিরষি হয়ে যাওয়ার বাগঘোরা রাস্তার একটা বাঁকের কাছে দেওয়াল লিখনের ধাঁচে রাস্তাতেই ব়ড় বড় হরফে লেখা সাবধানবাণী।
দিন কয়েক আগেই এই রাস্তা দিয়েই বাইকে শিরষিতে এক পরিচিতের বাড়িতে যাচ্ছিলেন অমিত দাস। রাস্তার উপর লেখাটা দেখে বাইকের গতি কমান তিনি। পাশে এক গাছের তলায় আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। যুবকদের কাছে অমিত জানতে চেয়েছিলেন এই রাস্তা ধরে যাওয়া ঠিক হবে কি না। অভয় দেন স্থানীয় যুবকেরা। তাঁরা জানান, জঙ্গলে হাতি রয়েছে। যে কোনও সময়ে বেরোতে পারে। তবে বাইক নিয়ে যাওয়াই যায়। বিকট শব্দ না হলেই হল।
পরে অমিত বলছিলেন, ‘‘রাস্তা-লিখনটা দেখেই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম। ওই তল্লাটে হাতির দল রয়েছে শুনেছিলাম। তবে ওই জঙ্গলেই যে হাতি রয়েছে জানতাম না। লেখাটা দেখেই সতর্ক হই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘স্থানীয় গ্রামবাসীদের এই উদ্যোগটা ভাল। বাইরে থেকে যাঁরা আসেন তাঁদের পক্ষে তো জানা সম্ভব নয় হাতি কখন কোন জঙ্গলে রয়েছে। এ ভাবে রাস্তা-লিখন থাকলে সকলেই সতর্ক হতে পারেন।’’
শিরষির মণিশঙ্কর মাহাতোর কথায়, ‘‘গ্রামবাসীরাই উদ্যোগী হয়ে রাস্তার উপর এ ভাবে লিখছেন। মানুষকে সতর্ক করতেই এই লেখা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গত বছর এক-দু’জায়গায় এমন লেখা হয়েছিল। এ বার আরও বেশি সংখ্যক জায়গায় এমন লেখা হয়েছে।’’ মেদিনীপুর গ্রামীণে এখনও রয়েছে হাতির একাধিক দল। ফের এলাকায় হানা দেবে না তো হাতির দল! আশঙ্কার প্রহর গুনছেন চাঁদড়া, ধেড়ুয়া, মণিদহ, কনকাবতীর বিভিন্ন গ্রাম। হাতির হানায় ঘুম ছুটছে গ্রামবাসীদের। মেদিনীপুরের এক বনকর্তার কথায়, ‘‘জঙ্গলে এখন হাতির সংখ্যাও অনেক। তাড়াহুড়ো করে কিছু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সবদিক দেখেই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy