শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বিজেপি শিবিরে বড়সড় ভাঙন! বৃহস্পতিবার রামনগর-২ ব্লকের পালধুই গ্রাম পঞ্চায়েতের চার জন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। বালিসাইতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভার প্রধান সুপ্রকাশ গিরির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। পাশাপাশি, বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তাপসী মণ্ডল তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পালধুঁই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনোজিৎ মান্না, চৈতালি গিরি,সঞ্জয় গারু এবং প্রিয়াঙ্ক মাইতি। তাঁরা বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন। পালধুই পঞ্চায়েত বর্তমানে বিজেপির দখলে রয়েছে। জল্পনা, এ ভাবে সদস্যেরা তৃণমূলে যোগদান করলে এই পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হতে পারে।
বিজেপি ছেড়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে সুপ্রকাশ জানান, দিন কয়েক আগেই হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে এসেছেন। মহিষাদলেও পঞ্চায়েতের বেশ কয়েক জন সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। এ বার রামনগরেও একই ভাবে তৃণমূলে এলেন বিজেপির একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর কথায়, “২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল-ঝড়ে রীতিমতো ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে বিজেপি। এখন তারই সূচনা হয়েছে।’’ সুপ্রকাশ আরও বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে প্রথম বার রামনগরে বিজেপি লিড পেয়েছে, যা গত কয়েক দশকে কোনও দিন ঘটেনি। তবে এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে রামনগর-সহ গোটা রাজ্যে বিজেপির আসন শূন্য হয়ে যাবে।’’
আরও পড়ুন:
রামনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজেপি নেতা মাধবেন্দ্র সাউ বলেন, “যে সকল পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে গিয়েছেন, তাঁরা অনেক আগে থেকেই নিজেদের স্বার্থে পা বাড়িয়েছিলেন। আজ তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে দল বদল করেছেন। তবে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে রামনগরে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।’’ তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়ে জানান, এলাকায় এখনও ভাল মানের একটি হাসপাতাল নেই। মানুষের জন্য কোনও কাজ করে না তৃণমূল। যাঁরা বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন, তাঁরা তৃণমূলে গেলে এলাকায় তাঁদের নিজস্ব কোনও ভোট নেই। এর পর তাঁরা তৃণমূলের প্রতীকে জিততে পারবেন না।