আনন্দবাজারে প্রতিবেদন প্রকাশের দিনই পুরনো সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল মেদিনীপুর পুরসভা। মঙ্গলবার বৈঠকের পরে পুর-কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পুরনো পাঁচশো-হাজারের নোটে বকেয়া পুরকর নেওয়া হবে। এ দিন বৈঠক শেষে উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস বলেন, “বকেয়া পুরকরের ক্ষেত্রে পুরনো নোট নেওয়া হবে। আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।’’ কিন্তু এ নিয়ে সরকারি নির্দেশ তো আগো থেকেই ছিল। তাও কেন পুরনো নোটে পুরকর নেওয়া হচ্ছিল না? সদুত্তর এড়িয়ে জিতেন্দ্রনাথবাবুর জবাব, “এখন থেকে পুরনো নোটে পুরকর নেওয়া হবে।’’
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও মেদিনীপুর পুরসভা পুরনো নোট নিচ্ছে না বলে খবর গিয়েছিল জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার কাথে। রবিবার জেলাশাসক এ নিয়ে কথা বলেন উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে। উপপুরপ্রধানও মানছেন, “রবিবার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়। উনি সরকারি নির্দেশ মেনে চলার কথা জানান।’’ পুরসভার এক সূত্রে খবর, আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। শহরবাসীর সুবিধার্থে প্রতি দিন কর জমার সময়সামী বাড়ানো হচ্ছে। বিকেল ৩টের বদলে ক্যাশ-কাউন্টার খোলা থাকবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। পুরসভার সিদ্ধান্তে খুশি শহরবাসীও। অলোক ঘোষ, কিংশুক পালদের কথায়, “পুরকরের ক্ষেত্রে পুরনো নোট নেওয়ার সরকারি নির্দেশ তো ছিলই। শুধু মেদিনীপুরেই তা নেওয়া হচ্ছিল না। পুরসভা সিদ্ধান্ত বদল করায় সুবিধে হল।’’ মেদিনীপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় রায়েরও বক্তব্য, “এত দিন ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছিলেন। পুরসভার সিদ্ধান্ত বদলানো সমস্যার সমাধান হল। যে সব ব্যবসায়ীর পুরকর বকেয়া রয়েছে, তাঁরা এ বার পুরনো নোটেও কর দিতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের কাছে কিছু পুরনো নোট তো থাকবেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy