নিয়ম ভাঙায় অবশ্য ছেদ নেই। মেদিনীপুর শহরের একটি ব্যাঙ্কের সামনে ভিড়। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
একদিনে সংক্রমণের নিরিখে আপাতত কিছুটা স্বস্তি।
রেলশহরে প্রতিদিন গড়ে ৮জন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। মহকুমায় প্রতিদিন গড়ে ১৫ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসছিল। এ বার একদিনে খড়্গপুর মহকুমায় করোনা আক্রান্ত হল মাত্র ২জন! রবিবার রাতে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী ঘাটাল মহকুমায় তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংখ্যা কমেছে এই মহকুমাতেও।
নতুন করে খড়্গপুর মহকুমায় যে ২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা। শহরের রেল যোগেই আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা। তবে মহকুমার অন্য ব্লকে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি। সাধারণত রবিবার করোনার নমুনা সংগ্রহ কম হয়। রবিবার রাতে যে রিপোর্ট এসেছে তার নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল শুক্রবার। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল বলেন, “একদিনে মহকুমায় শুধুমাত্র খড়্গপুরে রেলের ২জন ছাড়া আর কেউ নতুন করে আক্রান্ত হয়নি। আমরা চাই এই ধারা বজায় থাকুক। তবে আগামী কয়েকদিনের রিপোর্ট না দেখলে সঠিক কারণ বোঝা যাবে না।”
খড়্গপুর মহকুমায় রেলশহরে শুধুমাত্র রেল যোগেই গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে শহরের ছোট আয়মা ও মথুরাকাটির যে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের একজন অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী ও আরেকজন রেলের কন্ট্রোল বিভাগের কর্মী। অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী রেল হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর কন্ট্রোল বিভাগে আগে থেকেই অনেকে আক্রান্ত। সেই সূত্রেই নতুন করে এই রেলকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মহকুমার সবং, বেলদা, ডেবরায় যে ভাবে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধমুখী ছিল তা এ দিন একধাক্কায় একেবারে শূন্যতে নেমে এসেছে। দিন কয়েক আগে সবংয়ে এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও সেখানেও এভাবে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়ায় চর্চা চলছে। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “মহকুমার অন্য এলাকার তুলনায় খড়্গপুর শহর ও সবংয়ে গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। আর এই দুই এলাকায় স্থানীয়ভাবে আংশিক লকডাউন চলেছে। এই সংখ্যা হ্রাসের পিছনে লকডাউন একটি কারণ হলেও হতে পারে।”
ঘাটাল মহকুমায় যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সকলেই দাসপুরের। তাঁদের মধ্যে দাসপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর স্ত্রী আছেন। আক্রান্তদের শালবনি করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ঘাটাল-চন্দ্রকোনায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি। ঘাটালেও করোনার প্রকোপ কমাতে জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে ঘাটাল শহর-সহ মহকুমায় নানা জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে লকডাউন শুরু হয়। পুলিশের দাবি, সেই কারণেই সংক্রমণের রাশ অনেকটা কমেছে। আগের লকডাউনের মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে। তাই ফের নতুন লকডাউনের জন্য জেলায় ফের প্রস্তাব পাঠিয়েছে মহকুমা প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy