Advertisement
E-Paper

বিস্ফোরণ কাণ্ডে চার্জশিট এনআইএ’র 

গত বছর ৩ জানুয়ারি খেজুরির পশ্চিম ভাঙনমারিতে কঙ্কন করণ নামে এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। অনুপ দাস নামে একজনের মৃত্যু হয়।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ০৮:০৪
Share
Save

খেজুরি বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূল নেতা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শুধু তাই নয়, গত বছর পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক পুরসভার নির্বাচনে অশান্তির জন্য বোমা তৈরির মশলা মজুত করা হয়েছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে এনআইএ।

বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে খেজুরি বিস্ফোরণ কান্ড নিয়ে ফের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। শনিবার খেজুরিতে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "পশ্চিম ভাঙনমারিতে বোমা বাঁধতে গিয়ে অনেকে মারা যান। তৃণমূলের নেতারা এনআইয়ের দ্বারা গ্রেফতার হয়েছেন। এনআই-এর চার্জশিটে প্রমাণ হয়েছে কাঁথি, এগরা এবং তমলুকে হার্মাদ তৃণমূলকে বোমা সরবরাহ করতে বোমার মশলা মজুত করা হয়েছিল।’’ বিরোধী দলনেতার এমন বক্তব্যে খেজুরি বিস্ফোরণ কান্ড নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।

গত বছর ৩ জানুয়ারি খেজুরির পশ্চিম ভাঙনমারিতে কঙ্কন করণ নামে এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। অনুপ দাস নামে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। তৃণমূল নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সমর মণ্ডল-সহ আরও চারজনকে গ্রেফতার করে তারা। পরে জামিনে ছাড়া পান দুজন। এ বছর ২২ জুলাই এনআইএ আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। সেখানে তৃণমূল নেতা সমর, কঙ্কন এবং রতন প্রামাণিকের নাম রয়েছে। মোট ৭৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে এনআইএ দাবি করেছে, গত বছর পুরভোটে অশান্তির জন্য বোমা তৈরি করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল একজনের।

খেজুরি ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল কুমার মিশ্র বলছেন,"এ ধরনের কোনও চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।" তবে বিধায়ক ও কাঁথি সংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতি বলেন, "একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। চার্জশিটের বিষয়টি জানা নেই। আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কর্মীদের অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে।" স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলছেন,"আদালতের নির্দেশে এনআইএ তদন্ত করছে। তার জন্য তারা কী পদক্ষেপ করছে সে বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

NIA Khejuri

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}