তৃণমূলের মঞ্চে আগুন (বাঁ দিকে), প্রতিবাদে পথ অবরোধে তৃণমূল (ডান দিকে)। — নিজস্ব ছবি।
তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি। প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে পথ অবরোধ করে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগেই উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে নন্দীগ্রামে। বৃহস্পতিবার শহিদ দিবস পালনের কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর রাতে তৃণমূলের মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগার ঘটনাটি মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করেন স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির নেতাকর্মীরাই রয়েছেন এই কাণ্ডের পিছনে।
এর পরেই, শুক্রবার সকাল থেকে ঘটনার প্রতিবাদে গোকুলনগরের করপল্লিতে রাস্তায় বসে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা জমি আন্দোলনের নেতা স্বদেশ দাসের দাবি, শহিদ দিবসের মঞ্চে এসে শুভেন্দু অধিকারী উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। তার পরেই রাতের দিকে তৃণমূলের কয়েক জনের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। পরে শহিদ দিবসের মঞ্চেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে নন্দীগ্রাম এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সাহেব দাস বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলের সভামঞ্চে বিশৃঙ্খলা সবাই দেখেছে। আমরা নন্দীগ্রামের বিজেপি এমন কাজ করি না। কেন আমরা মৃতপ্রায় তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন দেব! আমরা চাই, পুলিশ দোষীদের পাকড়াও করুক। আমরা কোনও ভাবেই বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy