Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
JHargram

বিক্রি নেই, বন্ধ মহানায়কের প্রিয় কাটলেট

ঝাড়গ্রাম শহরের উড়ালপুল লাগোয়া এলাকায় মৃণ্ময়ের রেস্তরাঁ-হোটেলের সুখ্যাতি বহুদিনের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যের রসনাতৃপ্তির পদগুলি বন্ধ করে দিয়েছেন মৃণ্ময়।

এই রেস্তরঁার কাটলেট খেতে ভালবাসতেন উত্তমকুমার। নিজস্ব চিত্র

এই রেস্তরঁার কাটলেট খেতে ভালবাসতেন উত্তমকুমার। নিজস্ব চিত্র

কিংশুক গুপ্ত
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০০:৫৩
Share: Save:

করোনা আবহে অমিল মহানায়কের পছন্দের কাটলেট! করোনা-কালে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম শহরের সাবেক রেস্তরাঁটি এখন বদলে গিয়েছে মাছ-ভাতের হোটেলে। আবার মঞ্চের অভিনেত্রী এখন বাড়িতে রান্না করে হোম ডেলিভারি করছেন। পেশা বদলে বেঁচে থাকার লড়াই চালানোর নানা কাহিনি উঠে আসছে দেশজুড়ে। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাও আরও বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলছেন ঝাড়গ্রাম শহরের মৃণ্ময় কুণ্ডু।

ঝাড়গ্রাম শহরের উড়ালপুল লাগোয়া এলাকায় মৃণ্ময়ের রেস্তরাঁ-হোটেলের সুখ্যাতি বহুদিনের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যের রসনাতৃপ্তির পদগুলি বন্ধ করে দিয়েছেন মৃণ্ময়। সত্তরের দশকের শুরুতে রেস্তরাঁটি চালু করেছিলেন মৃণ্ময়ের বাবা প্রয়াত দীনেশচন্দ্র কুণ্ডু ও তাঁর বন্ধু বীরেন্দ্রনাথ সিংহ। ১৯৭৩ সাল নাগাদ মেন রোডের ধারে অশোকা নামের রেস্তরাঁটি চালু হয়েছিল। রেস্তরাঁর বর্তমান মালিক মৃণ্ময় কুণ্ডু জানান, সত্তরের দশকে ঝাড়গ্রামে তাঁদের দোকানই প্রথম পরিবেশন করেছিল আফগানি কাটলেট। মুচমুচে কিমাদার আফগানির টানে লকডাউনের আগে পর্যন্ত অনেকেই রেস্তরাঁয় নিয়মিত আসতেন।

মৃণ্ময় জানান, ‘বাঘবন্দি খেলা’ ও ‘সন্ন্যাসী রাজা’র শ্যুটিংয়ে এসে উত্তমকুমারের জন্য তাঁদের দোকান থেকে মটন কাটলেট, আফগানি কাটলেট নিয়ে যাওয়ার গল্প। বলছিলেন, “বাবার সময়কার রেসিপি মেনেই বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, মোগলাই পরোটা ও কষা মাংসের সুখ্যাতি আজও রয়েছে। ‘বাঘবন্দী খেলা’ ও ‘সন্ন্যাসী রাজা’ ছবির ছবির শ্যুটিংয়ে এসে বেশ কয়েকদিন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির অতিথিশালায় ছিলেন উত্তমকুমার। বিকেলে মহানায়কের জন্য এই হোটেলেরই কাটলেট নিয়ে যেতেন শ্যুটিং ইউনিটের লোকজন।’’ প্রসঙ্গত, কাটলেট খেয়ে মহানায়ক এতটাই খুশি হন যে, রাজবাড়ির অতিথিশালায় দেখা করার জন্য ডেকে পাঠান দীনেশচন্দ্রকে। মৃন্ময় বলছিলেন, ‘‘মহানায়কের তারিফের পেয়ে আমাদের কাটলেট বিখ্যাত হয়ে যায়। আর এখন সবই ইতিহাস।’’ লকডাউনে হোটেল বন্ধ ছিল। তারপর হোটেল খোলার পরে কাটলেট তৈরি হচ্ছিল। বিক্রি কমে যাওয়ায় বিখ্যাত মটন কাটলেট, চিকেন কাটলেট, আফগানি কাটলেট, মোগলাই পরোটা, কষা মটন তৈরি বন্ধ করে দিয়েছেন মৃণ্ময়। আপাতত দুপুরের ভাতই মিলছে হোটেলে।

করোনা আবহে পেশা বদলে ফেলেছেন ঝাড়গ্রাম শহরের নাট্যকর্মী শ্রীপর্ণা পাহাড়ি। শহরের একটি নাটকের দলের পেশাদার শিল্পী শ্রীপর্ণা এখন বাড়িতে রান্না করে হোম ডেলিভারির কাজ শুরু করেছেন। শ্রীপর্ণা বলেন, ‘‘মঞ্চের অভিনয় বন্ধ। রান্নাটা ভাল জানি, তাই বিকল্প পেশা বাছতে বাধ্য হলাম।’’

অন্য বিষয়গুলি:

JHargram Cutlet
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy