প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে বলতেন, চাকরি করার ইচ্ছে নেই। কিন্তু কারণ খোলসা করেননি পুলিশকর্মী বিশ্বনাথ বসু (৩৯)। শুক্রবার সকালে বাড়িতেই ঝুলন্ত দেহ মিলল তাঁর।
বেলদার দেউলি গ্রামের বিশ্বনাথ কাঁথিতে সাংসদ শিশির অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। গত দুর্গাপুজোর সময় শিশিরবাবুর দেহরক্ষী হিসাবে কাজ শুরু করেন বিশ্বনাথ। শিশির বলেন, ‘‘ মৃত্যুর খবর শুনেছি। কী কারণে মৃত্যু তা পুলিশ বলতে পারবে।’’ গত অক্টোবরে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী।
পরিবারের দাবি, কোমরে যন্ত্রণার কথা বলতেন বিশ্বনাথ। গত ৮ জানুয়ারি ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এমআরআই করানো হয়। এ দিন প্রাতরাশ করেন বিশ্বনাথ। তারপর স্ত্রী সুপর্ণা বাজারে যান। তাঁদের বছর পাঁচেকের মেয়েও বাড়িতে ছিল না। সুপর্ণা ফিরে কড়িকাঠে দড়ির ফাঁসে স্বামীর দেহ ঝুলতে দেখেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছুই বুঝতে পারছি না।’’ মৃতের দাদা সোমনাথের কথায়, ‘‘চিকিৎসার খরচ কী ভাবে চলবে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভাই।’’ বাবা শক্তি বসুর মতে, ব্যারাকে অন্য এক নিরাপত্তা রক্ষীর আত্মহত্যা হয়তো ছেলেকে নাড়া দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy