Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Dev

নির্বাচনে জয়ের পর প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক করলেন দেব, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কী বললেন তিনি

সোমবার দাসপুরে প্রথমে দলীয় কর্মসূচি এবং বৃক্ষরোপণ করেন দেব। তার পরে তিনি যান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহে। সেখানে বিদ্যাসাগরের ১৩৪তম তিরোধান দিবসে তিনি তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৩৪তম তিরোধান দিবসে দেব তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৩৪তম তিরোধান দিবসে দেব তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দাসপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০০:১৩
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর প্রথম বার দাসপুরে গেলেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। সোমবার দাসপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি সেরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এবং পাঁশকুড়া-ঘাটাল রেললাইন নিয়ে কথা বলেন তিনি।

সোমবার দাসপুরে প্রথমে দলীয় কর্মসূচি এবং বৃক্ষরোপণ করেন দেব। তার পরে তিনি যান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহে। সেখানে বিদ্যাসাগরের ১৩৪তম তিরোধান দিবসে তিনি তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এর পর তিনি প্রশাসনিক বৈঠক সারেন ঘাটালে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কাজ এগোচ্ছে। জমি পরিমাপের কাজ শেষ। এর পর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমার ফাস্ট প্রায়োরিটি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজটা দ্রুত শুরু করা। যতক্ষণ না কাজটা শুরু হচ্ছে তত ক্ষণ আমার শান্তি নেই।” এর পরেই দেব বলেন, “আমি আবার এই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাচ্ছি। পাঁশকুড়া হয়ে ঘাটাল পর্যন্ত রেললাইনটা হওয়ার কথা ছিল ২০০৯ সালে। আমাদের দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন। বাজেটের মধ্যেও ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাজ শুরু হয়নি। আমার কাজ হবে এই বিষয়টা তুলে ধরা। ঘাটাল-আরামবাগ পর্যন্ত রেললাইনের কাজটা যেন এ বারে অনুমোদন পায়।”

বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ঘাটালের সাংসদ বলেন, “ভোটের সময় এসে ভোটের রাজনীতি করবে। আর ভোট না পেলে সম্মান দেবে না। বাংলার মানুষ সেটা দেখছেন, বুঝছেন। আবার ২০২৬-এ জবাব দেবেন। আমি প্রচারে বলেছি, জোর করে বাংলা দখল করা যাবে না। ভালবাসা দিয়ে মানুষের পাশে থেকে তবেই মানুষের মন জয় করতে পারবেন। বিজেপি বা কেন্দ্র ভাবছে এখানে যদি ভাল ফলাফল পায় তা হলে এখানে মানুষকে ভালবাসা দিতে হবে, ভালবাসতে হবে, তাদের হয়ে কাজ করতে হবে। গরমাগরম ভাষণ, বড় বড় কথা বলে বাংলার মানুষের মন জয় করা যাবে না। বাংলার মানুষ শান্তিপ্রিয়। মানুষ শান্তি চায়। ভাল ব্যবহার চায়।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE