প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। পশ্চিম মেদিনীপুরেও অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। করোনা সংক্রমিতদের অনেকে সময় মতো অক্সিজেন না পেয়ে রীতিমতো আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরও সময় মতো অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে সিলিন্ডারের ঘাটতি পূরণ করতে পারে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। কিন্তু জেলায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটরও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। জানা যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে সব মিলিয়ে ৩৬টি কনসেনট্রেটর রয়েছে। জেলার যে সব হাসপাতালে করোনা সংক্রমিতেরা ভর্তি রয়েছেন, তার বেশিরভাগেই কনসেন্ট্রেটর নেই। ফলে, ওই হাসপাতালগুলি সমস্যায়ও পড়ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘সবদিক দেখা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের কোনও সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত অক্সিজেনই রয়েছে।’’ একই দাবি জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গীর। তাঁর কথায়, ‘‘এখন হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের কোনও সমস্যা নেই। অক্সিজেন সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে তা দেখাও হচ্ছে।’’ জেলার এক হাসপাতালের আধিকারিক যদিও বলছেন, ‘‘আমাদের এখানে একটিও অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর নেই। জেলা থেকে কয়েকটি কনসেন্ট্রেটর চেয়েছি। কনসেন্ট্রেটর থাকলে সুবিধা হত। সিলিন্ডারের অভাব হলেও কিছু ক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে নেওয়া যেত।’’
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ৮০ শতাংশের নীচে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে যাওয়া রোগীদেরও সাহায্য করেছে এই যন্ত্র। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক মানছেন, ‘‘কনসেন্ট্রেটর প্রয়োজনের তুলনায় কমই রয়েছে। সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ১৫০টি কনসেন্ট্রেটর আসার কথা। এলে হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হবে।’’
করোনা চিকিৎসায় চালু হয়েছে শালবনি সুপার স্পেশালিটির ২০০টি শয্যা, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের ৮০টি শয্যা, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের ৫০টি শয্যা, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩০টি শয্যা। চালু হওয়ার মুখে ডেবরা হাসপাতালের ৪০টি শয্যা, মেদিনীপুর আয়ুষ হাসপাতালের ১০০টি শয্যা। জানা যাচ্ছে, এই হাসপাতালগুলির মধ্যে শালবনিতে ৩৫টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর রয়েছে, খড়্গপুরে ১টি কনসেন্ট্রেটর রয়েছে। আর কোথাও নেই। খড়্গপুরে আরও অন্তত ৫টি কনসেন্ট্রেটর প্রয়োজন।
প্রতিটি হাসপাতালেই অক্সিজেনের চাহিদা বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে। আগামী দিনে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেলে সঙ্কটজনক রোগীও বাড়বে। তখন দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা কত থাকবে, সেটাই ভাবাচ্ছে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। গতবারের থেকে এ বার কিছু রোগীর খুব দ্রুত শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সঙ্কটজনক রোগীদের হাসপাতালে উপযুক্ত পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। প্রয়োজনে অক্সিজেন চালাতে হয়। শালবনি হাসপাতালের এক আধিকারিকের আশঙ্কা, ‘‘যে ভাবে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ঠিক মতো অক্সিজেনের জোগান না থাকলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এখন সমস্যা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy