তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শিবিরেরই অস্ত্র ব্যঙ্গচিত্র। নিজস্ব চিত্র
মেদিনীপুরে বাগদেবীর বন্দনায় মিশল তৃণমূল এবং বিজেপি-র রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের রং। সরস্বতী পুজোয় ‘নির্বাক’ ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে একে অন্যের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাল দুই শিবির।
ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে রাজনীতির কথা তুলে ধরা। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সরস্বতী পুজোয় এমন রীতিই চলে আসছে মেদিনীপুর শহরে। সেটাই মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে দর্শকদের কাছে। এলাকার ক্লাবগুলির কোনওটিতে প্রভাব তৃণমূলের। আবার কয়েকটি ক্লাবের কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত বিজেপি-র রাজনীতির সঙ্গে। তাই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আবহে এ বার ক্লাবগুলির মধ্যে রেষারেষির পারদ চড়েছে। একই সঙ্গে পুজোকে সামনে রেখে সারা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রচারও। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বক্তৃতার মঞ্চের মতো পুজোতেও বেড়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি-র একে অপরকে আক্রমণের ধার। তার হাতেনাতে প্রমাণ মিলেছে ব্যঙ্গচিত্রগুলি দেখে।
মেদিনীপুরের ‘অগ্নিকন্যা’, ‘অবসর’ এবং ‘অ্যারিয়ান্স’-এর মতো ক্লাবগুলি মূলত তৃণমূল প্রভাবিত। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম তুলে ধরেছে তারা। সেই সঙ্গে ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে কটাক্ষ করা হয়েছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে। কিছু দিন আগে শুভেন্দুকে ‘মিরজাফর’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শব্দটিও ঠাঁই পেয়েছে ব্যঙ্গচিত্রে। জেলার তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দুর্নীতি করে প্রাণে বাঁচতে শুভেন্দু অধিকারীর মতো অনেকেই বিজেপি-র পায়ে পড়ছে। এটা মানুষ দেখেছেন। একই সঙ্গে এটাও দেখছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ করেছেন। সেগুলিই আমরা তুলে ধরেছি।’’
কিছু দিন আগেও মেদিনীপুরের আগে ‘গরিমা’ ক্লাবটি ছিল তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সম্প্রতি সেই ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা রমাপ্রসাদ গিরি দল বদলে এ বার গিয়েছেন বিজেপি-তে। তাই সরস্বতী পুজোর ব্যঙ্গচিত্রেও এ বার ধরা পড়েছে ‘গরিমা’র সেই সুর বদল। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘গরিমা’। বরাবর বিজেপি-র দখলে থাকা ‘জাগরণ’ ক্লাব তাদের ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলকে। ক্লাবের সদস্য শুভজিৎ রায়ের দাবি, ‘‘তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। মানুষের কথা এবং তাঁদের চিন্তাভাবনা আমরা তুলে ধরেছি।’’
মেদিনীপুরে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে বাম এবং কংগ্রেসও। মূলত, কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র পরিষদ’ পরিচালিত ‘প্রগতি’ আক্রমণ শানিয়েছে তৃণণূল এবং বিজেপি দু’পক্ষকেই। বাম মনোভাবাপন্ন ‘সংগ্রামী’ ক্লাবটিও তাদের ব্যঙ্গচিত্রে নিশানা করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি-কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy