উড়ালপুলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি ও মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র।
সকালের অফিস টাইম। রাস্তায় ব্যস্ততা ছিল ভালই। হঠাৎই উড়ালপুলের ওপর থেকে এক ব্যক্তিকে কার্যত ‘উড়ে’ নীচে পড়তে দেখে হকচকিয়ে যান এলাকাবাসী। ছুটে যান সকলে। আহত ওই ব্যক্তিকে দ্রুত নিয়েও যাওয়া হয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ কেন্দ্রে। সেখানেই ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণাকরেন চিকিৎসক।
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর বাজারের অদূরে শুক্রবারের ওই ঘটনায় মৃতের নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত (৪২)। তিনি কলকাতার যাদবপুরের বাসিন্দা। এ দিন ওই এলাকায় ১১৬ বি জাতীয় সড়কের উড়ালপুলে দেবাশিসের মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। তাতেই দেবাশিস উড়ালপুলের রেলিং টপকে নীচে পড়ে যান। হেলমেট থাকলেও প্রায় ৩০ ফুট উপর থেকে নীচে পড়ায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন দেবাশিস। দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক-সহ দু’জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, দেবাশিস পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। তিনি পেশাগত কাজে মোটরসাইকেলে কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছিলেন। এ দিন সকালে দিঘা থেকে নন্দকুমার-দিঘা জাতীয় সড়ক ধরে নন্দকুমারের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল ১০টা নাগাদ চণ্ডীপুর বাজারে জাতীয় সড়কের উড়ালপুলে একটি বাসকে পাশ কাটানোর সময় উল্টো দিক থাকা আসা একটি গাড়ির সঙ্গে দেবাশিসের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ধাক্কার জেরে দেবাশিস মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে উড়ালপুল থেকে নীচে পড়েন। স্থানীয়ের তাঁকে চণ্ডীপুরের এড়াশাল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক দেবাশিসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে পরে যায় চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। দুর্ঘটনায় দেবাশিসের মোটরসাইকেল এবং অন্য গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। অ্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই গাড়ির চালক এবং এক আরোহীকে আহত অবস্থায় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে একজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ দেবাশিসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে, মোটরসাইকেল এবং গাড়ি— দু’টিই বেশ জোর যাচ্ছিল। তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy