প্রতীকী ছবি।
ব্যবধান বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের উত্থানের কারণ খুঁজতে অঞ্চলপিছু পর্যালোচনা মিটিং শুরু করল রাজ্যের শাসক দল। বিধানসভা ভোটের বাকি এখনও দু’বছর। তার আগে মহিষাদল বিধানসভা এলাকা সরগরম হয়ে উঠল শাসক দলের মধ্যে অন্তর্ঘাতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। দলের সঙ্গে অন্তর্ঘাত করেছেন এমন ১০ জন স্থানীয় নেতাকে চিহ্নিত করে তাঁদের নামের তালিকা ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ব্লক তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে ব্লক ও অঞ্চল ভিত্তিক ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনা মিটিং করা হচ্ছে মহিষাদল ব্লকে। ইতিমধ্যে বেতকুন্ডু, ইটামগরা-১ ও ২ অঞ্চল, রমণীমোহন মাইতি, নাটশাল-সহ অধিকাংশ অঞ্চলে পর্যালোচনা মিটিংয়ের পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মসূচি চলছে বলে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। উল্লেখ্য, এ বার লোকসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী দেড় লক্ষের কাছাকাছি ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হন। তার মধ্যে হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু, ওই দুই জায়গায় ভোটের দিন সর্বাধিক ‘ছাপ্পা’ ভোটের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি ও বামেরা।
তবে, মহিষাদল ব্লকে সেই অর্থে শাসকের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে ব্যর্থ হয় বিরোধীরা। এ বার এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ১৭ হাজার ভোটের লিড পেয়েছেন। যা ২০১৬ সালে লোকসভা উপ নির্বাচনের তুলনায় দু’হাজারেরও বেশি। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে এই ফলে কিছুটা স্বস্তিতে শাসক দল। কিন্তু সিপিএমের প্রাপ্ত ৩২ হাজার ভোট যে পরিমাণে কমেছে, বিজেপির ভোট ততটাই বেড়ে গিয়েছে। আর এখানেই গেরুয়া শিবিরের বাড়-বাড়ন্তে চিন্তা বেড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের।
শাসক দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবি, বিভিন্ন অঞ্চলে তৃণমূলের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের একাধিক নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং বুথস্তরের নেতারা অন্তর্ঘাতে জড়িত। তা ছাড়া, সিপিএমের সমর্থন পুরোপুরি চলে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দিকে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ১০ জন নেতাকে অন্তর্ঘাতের জন্য দোষী চিহ্নিত করে একটি তালিকা বানানো হয়। ওই তালিকা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিতও মিলেছে।
এ ব্যাপারে মহিষাদল ব্লক তৃণমূল সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের আগে ঘর গোছাতে অঞ্চল ও ব্লক ভিত্তিক পর্যালোচনা মিটিং করা হয়েছে। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাঁরাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘মহিষাদল ব্লক ছাড়াও বিভিন্ন ব্লক থেকে এরকম অভিযোগ এসেছে। দলীয়ভাবে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy