Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
general-election-2019-west-bengal

জট না পাকে, মোদীর মাঠ নিয়ে চুপ দল

বিজেপি সূত্রে আগেই জানানো হয়েছে, আগামী ৫ মে ঝাড়গ্রামে সভা করবেন মোদী। কিন্তু জেলার কোন মাঠে সেই সভা হবে তা জানাতে চাইছেন না জেলার নেতারা।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৫২
Share: Save:

নরেন্দ্র মোদী হোন বা অমিত শাহ, রাজ্যের নানা প্রান্তেই বিজেপির সভা আয়োজনে মাঠ-বিপত্তি বেধেছে। তাই ঝাড়গ্রামে মোদীর সভার মাঠ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপি সূত্রে আগেই জানানো হয়েছে, আগামী ৫ মে ঝাড়গ্রামে সভা করবেন মোদী। কিন্তু জেলার কোন মাঠে সেই সভা হবে তা জানাতে চাইছেন না জেলার নেতারা। সভার মাঠ নিয়ে তৃণমূল বাগড়া দিতে পারে এই আশঙ্কাতেই এত রাখঢাক বলে বিজেপির এক সূত্রে খবর। দলের নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ঝাড়গ্রামে গত জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রি স্মৃতি ইরানির সভা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। প্রশাসনের বাধায় ঝাড়গ্রামে স্মৃতির কপ্টার নামতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল। স্মৃতিকে সড়ক পথে আসতে হয়েছিল।

বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী শুধু বলেন, "মাঠ দেখা চলছে। এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে আগামী ৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম জেলার কোনও একটি মাঠে বড় ধরনের জনসভা করবেন।’’ কেন এই গোপনীয়তা? মুচকি হেসে সুখময়ের জবাব, ‘‘সময় হলে জানতে পারবেন।’’ সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, কেবলমাত্র ঝাড়গ্রাম লোকসভা এলাকা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সভায় মোটামুটি ৫০ হাজার জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় বড় মাঠের অভাব রয়েছে। বড় সভাস্থল একমাত্র ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে বেতকুন্দ্রি এলাকাতেই রয়েছে। তবে ওই মাঠে মোদীর সভা হবে কিনা তা স্পষ্ট করে জানাননি বিজেপি নেতৃত্ব।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দীর্ঘ ৩২ বছর পরে ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী আসছেন ঝাড়গ্রামে। বিজেপির প্রার্থী কুনার হেমব্রমের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৭১ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেতকুন্দ্রি মাঠেই জনসভা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। ১৯৮৭ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন বিধানসভার প্রচারে। রাজীব সভা করেছিলেন ঝাড়গ্রাম শহরের সার্কাস মাঠে। ১৯৭৪ সালে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা ঝাড়গ্রামের খরা কবলিত দহিজুড়ি অঞ্চল পরিদর্শনে এসেছিলেন। তবে সেটা ছিল সরকারি সফর। সেই হিসেবে ঝাড়গ্রাম জেলায় মোদী তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি রাজনৈতিক প্রচারে আসছেন।

ঝাড়গ্রামে তৃণমূল প্রার্থী বিরবাহা সরেনের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রমের জোর টক্কর হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ। তাই শেষ বেলায় মোদীর সভা করে জঙ্গলমহলে গেরুয়া শিবিরর কিস্তিমাত করার পরিকল্পনা করছে। তবে তাতে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের ঝাড়গ্রাম জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলের মানুষ দিদির উন্নয়নে সুখে-শান্তিতে রয়েছেন। এখানে মোদী এসে বিশেষ সুবিধা করতে পারবেন না।’’ সেই সঙ্গে উজ্জ্বলের হুঁশিয়ারি, ‘‘কিছু বিজেপি নেতা মিথ্যা কথা বলে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করছেন। ভোটের পরে তৃণমূল কিন্তু মিথ্যাবাদীদের রাজনৈতিকভাবে বুঝে নেবে।’’ উজ্জলের এই প্রচ্ছন্ন হুমকিকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিজেপির জেলা সভাপতি। সুখময় বলছেন, ‘‘শূন্য কলসির আওয়াজ বেশি। ভোটের ফল প্রকাশের পরে ওই সব চুনো পুঁটি নেতারা আর মানুষের কাছে যেতে পারবেন না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE