নন্দীগ্রামে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ছবি: নিজস্ব চিত্র
বিধানসভা ভোটের আগে এলাকায় এসেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করেছিলেন রাত্রিবাস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আসছেন দলের ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও করবেন রাত্রিবাস। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের কর্মসূচি এবং রাত্রিবাস নিয়ে আপাতত আবেগে রয়েছেন এলাকার দলীয় নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূলের ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছেন অবিষেক। প্রথমদিন পটাশপুর, এগরা, রামনগর হয়ে রাত্রিবাস করেছেন কাঁথিতে। দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি রাতে থাকছেন চণ্ডীপুরে। তৃতীয় দিন, আজ, বৃহস্পতিবার অভিষেক নন্দীগ্রামে আসছেন। নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ মাঠে তাঁর রাত কাটানোর কথা। তাঁকে ঘিরেই নন্দীগ্রামে বিপুল উৎসাহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ চণ্ডীপুর থেকে ক্ষুদিরাম মোড় হয়ে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে পা রাখবেন অভিষেক। সেখান থেকে রেয়াপাড়া হয়ে চৌমুখীর পর নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের আসবেন। তারপর টেংগুয়া মোড়ে কর্মীদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আসবেন সীতানন্দ কলেজে। নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের হাত ধরে রাজ্যে ক্ষমতা বদল ঘটেছিল। কিন্তু সম্প্রতি গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা হেরেজান। এর পরে এলাকায় দলের কোন্দলও সামনে এসেছে। এখন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাত্রিবাস করবেন জেনে কর্মীদের মধ্যে মনোবল বাড়ছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
এর আগে নন্দীগ্রামে এসে সভা করেছেন অভিষেক। তবে এই প্রথমবার ভূমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘরে রাত্রিবাস করতে চলেছেন। সে জন্য সীতানন্দ কলেজের মাঠে বনানো হচ্ছে তাঁবু। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তাবলই থাকছে তাঁবুর চারিদিকে। সূত্রের খবর, হলদিয়া থেকে নদীপথে প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা নন্দীগ্রামে যাবেন। সেজন্য নন্দীগ্রাম - হলদিয়া ফেরি সার্ভিসে বেশি সংখ্যায় ভেসেল চালানোর কথা বলা হয়েছে ওই দিন। তৃণমূল সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক থেকে প্রায় ৪০ হাজার এবং নন্দীগ্রাম-২ ব্লক থেকে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী নব জোয়ার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে রাত্রিবাস করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্য সাধারণ কর্মীরা যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন।’’
তাঁর বিধানসভা এলাকায় অভিষেকের রাত কাটানো প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এ দিন কলকাতায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম আমার এলাকা নয়, আমি সেখানের জন প্রতিনিধি। আর স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনও রাজনৈতিক দল যে কোনও জায়গায় কর্মসূচি করতেই পারে। একই সঙ্গে তাঁর খোঁচা, এ রাজ্যে শাসক দলের কোনও কর্মসূচি নিয়ে বাধা দেওয়া হয় না, কিন্তু বিরোধীরা কিছু করলেই তাঁদের আটকানো হয়।’’ একই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, ‘‘এখানে উনি হেরেছেন, কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ওঁর এখানে আসতে খারাপ লাগতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy