বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে কুণাল ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিধানসভা এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে তাঁকেই নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক, দলের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে দলের কোন্দল কাটিয়ে কী ভাবে সংগঠন মজবুত করা যায়, তা নিয়েও করলেন বৈঠক।
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে একাধিক দলীয় কর্মসূচি ছিল কুণালের। দুপুরে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে যোগ দেন তিনি। ছিলেন তৃণমূলে নন্দীগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠন শক্তিশালী করার উপরে জোর দেন কুণাল। তবে দ্বন্দ্ব এড়ানো যায়নি এ দিনও। দলীয় কার্যালয়ে এই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি স্বদেশরঞ্জন দাস।
পরে দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সভা করেন কুণাল। সেখানে ছিলেন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভূঁইয়া, ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য-সহ অন্য নেতৃত্ব। সভামঞ্চ থেকে বিজেপি সরকারকে নিশানা করে কুণাল বলেন, ‘‘কেরোসিন দোকানে গিয়ে জয় শ্রীরাম বললে কেরোসিনের দাম কি ৪০ টাকা লিটার হয়? আমাদের রাজ্য সরকার কিন্তু বিনামূল্যে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-খাদ্য দিচ্ছে। কন্যাশ্রী-রূপশ্রী-যুবশ্রী দিচ্ছে। শুভেন্দু রাজনৈতিকভাবে এঁটে উঠতে না পেরে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন।’’ তৃণমূল কর্মীদের প্রতি তাঁর সাবধানবাণী, ‘‘বিজেপির প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না। বিজেপি অশান্তি পাকাতে চাইলেই আমি ৪ ঘণ্টার মধ্যে দাউদপুরে পৌঁছে যাব। যেমন গোকুল নগরে পৌঁছে গিয়েছিলাম।’’
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল পাল্টা বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সুপ্রিমোকে পরাজিত করেছেন নন্দীগ্রামের মানুষ। পঞ্চায়েত ভোটেও বিজেপি ধুয়ে মুঝে সাফ করে দেবে তৃণমূলকে। আর তৃণমূল পূর্ব মেদিনীপুরে এমন একজনকে দায়িত্ব দিয়েছে, বোঝা যাচ্ছে বিজেপিকে ওয়াক ওভার দিয়েছে তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy