বন্ধ রয়েছে কর্মতীর্থ। নিজস্ব চিত্র
তৈরি হয়েছিল দু’বছর আগে। তার পরেও কার্যত বন্ধই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কর্মতীর্থ’ প্রকল্প।
কাঁথি শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে এই কর্মতীর্থ ভবনে কেউ কেউ দোকানঘর নিলেও করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে আর তা খোলেনি বলে দাবি প্রশাসনের। যদিও স্থানীয়দের দাবি, জনমানবহীন এলাকায় প্রকল্প গড়ে ওঠায় ব্যবসা না হওয়ার আশঙ্কায় দোকানদাররা দোকান খুলতে চাইছেন না। এই অবস্থায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিনত এই কর্মতীর্থ ভবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে রাইপুর পশ্চিমবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলমুড়ি মৌজায় এই কর্মতীর্থ প্রকল্প গড়ে ওঠে। এর জন্য দেড় কোটি টাকা খরচ হয়। ঝাঁ-চকচকে একতলা ভবনটিতে আটটি দোকান রয়েছে। প্রত্যেকটি স্টল আগেই স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বিতরণ করে দেওয়া বয় বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মূলত, হাতের কাজ করা নানা রকম সামগ্রী বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ওই স্টলগুলি নিয়েছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। যদিও তাঁদেরই একজনের দাবি, ‘‘সারাদিন দোকান খোলা হলেও বেচাকেনা সেরকম হয় না। মাছি তাড়িয়ে বাড়ি ফেরাটা রোজনামচা হয়ে গিয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বসতি এলাকা থেকে অনেকটা দূরেই তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারের এই বিপণন কেন্দ্র। চাররাশ একেবারে ফাঁকা। তা ছাড়া কাছে কোনও হাট পর্যন্ত নেই। ফলে ক্রেতাদের আনাগোনা একেবারেই দেখা যায় না। কেন এমন জায়গায় প্রকল্প গড়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহেরুন বিবি বলেন, ‘‘এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ব্যবসা করার জন্য ওই স্টলগুলি দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও সব সময় ওই দোকালগুলি বন্ধ থাকে।’’ এ বিষয়ে কর্মতীর্থ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন দাবি করেন, ‘‘লকডাউনের আগে কর্মতীর্থ স্বাভাবিক ভাবেই চলত। ইদানীং করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে কেউ দোকান খুলতে চাইছেন না। তবে, তাঁরা যাতে ফের দোকান খুলে স্বাভাবিক ছন্দে ব্যবসা করতে পারে তার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কর্মতীর্থ মানে তৃণমূল শুধু ভবন নির্মাণের কথাই বোঝে। ভবন বানালে কাটমানি আসবে ওদের পকেটে। কর্মতীর্থর প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ করা কখনওই শাসকদলের লক্ষ্য নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy