দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি পর্ষদের প্রথম বৈঠকে প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করল রাজ্য সরকার। সূত্রের দাবি, ওই মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কী হবে এবং বিশেষ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী থাকবে তা নিয়েও এ দিন মুখ্যমন্ত্রী-সহ প্রশাসনিক কর্তারা সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এ দিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৯ এপ্রিল জগন্নাথ মন্দিরে মহাযজ্ঞ এবং প্রাণপ্রতিষ্ঠার কর্মসূচি হবে। ৩০ এপ্রিল হবে উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা, ভিড়, ব্যবস্থাপনা, গাড়ি রাখার বন্দোবস্ত ইত্যাদি নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়। কুম্ভে বিভিন্ন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অযথা উন্মাদনা তৈরি করা নিয়ে সতর্ক করেন। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, সেই বার্তা মাথায় রেখেই মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঠিক হবে।
প্রশাসনিক সূত্র দাবি করেছে, এ দিনের বৈঠকে ট্রাস্টের ২৭ জনের মধ্যে ২২ জনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী দিনে বাকিদের নামও চূড়ান্ত করবে নবান্ন। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ট্রাস্ট গঠনের প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দির, কালীঘাট মন্দির, সারদা মঠ, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন, দিঘার মাসির বাড়ি, সনাতন সঙ্ঘের প্রতিনিধি, সিএ-ফার্ম এবং জনসংযোগ আধিকারিকের ট্রাস্টে থাকার কথা। মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা অখিল গিরি, পুরীর মন্দিরের জগন্নাথ দয়িতাপতি, রাজেশ দয়িতাপতি, দিঘাার মাসির বাড়ি, সনাতনি সঙ্ঘের প্রতিনিধিরা এ দিনের বৈঠকে ছিলেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)